1. arif.arman@gmail.com : Daily Coxsbazar : Daily Coxsbazar
  2. dailycoxsbazar@gmail.com : ডেইলি কক্সবাজার :
  3. litonsaikat@gmail.com : ডেইলি কক্সবাজার :
  4. shakil.cox@gmail.com : ডেইলি কক্সবাজার :
  5. info@dailycoxsbazar.com : ডেইলি কক্সবাজার : Daily ডেইলি কক্সবাজার
"অনলাইনের ছবি দেখেই আমার ছেলেকে চিনতে পারি" - Daily Cox's Bazar News
রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫, ১০:৩৬ অপরাহ্ন
নোটিশ ::
ডেইলি কক্সবাজারে আপনার স্বাগতম। প্রতি মূহুর্তের খবর পেতে আমাদের সাথে থাকুন।
সংবাদ শিরোনাম ::
কট্টরপন্থী ইসলামী দল হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের জন্য চ্যালেঞ্জ: এসএডিএফ কক্সবাজারের আট তরুণ তরুণীকে ‘অদম্য তারূণ্য’ সম্মাননা জানাবে ঢাকাস্থ কক্সবাজার সমিতি Job opportunity বিশ্বের সবচেয়ে বড় আয়না, নাকি স্বপ্নের দেশ! আল-আকসা মসজিদে ইহুদিদের প্রার্থনা বন্ধের আহ্বান আরব লীগের পেকুয়ায় পুলিশের অভিযানে ৮০ হাজার টাকার জাল নোটসহ গ্রেফতার-১ পেকুয়ায় অস্ত্র নিয়ে ফেসবুকে ভাইরাল : অস্ত্রসহ আটক শীর্ষ সন্ত্রাসী লিটন টেকনাফে একটি পোপা মাছের দাম হাঁকাচ্ছেন সাড়ে ৭ লাখ টাকা ! কক্সবাজারের টেকনাফে র‍্যাবের অভিযানে ইয়াবাসহ আটক-১ নিউ ইয়র্কে মেয়র কার্যালয়ে শহীদ মিনার নির্মাণ নিয়ে কনসাল জেনারেলের আলোচনা

“অনলাইনের ছবি দেখেই আমার ছেলেকে চিনতে পারি”

ডেইলি কক্সবাজার ডেস্ক ::
  • আপডেট সময় সোমবার, ৪ জুলাই, ২০১৬
  • ৩০৬০ বার পড়া হয়েছে

ডেইলি কক্সবাজার ডেস্ক :

শুক্রবার রাতে ঢাকার গুলশানের হোলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় জঙ্গী আক্রমণে বিদেশীসহ ২০ জনকে হত্যা করে হামলাকারীরা।

আক্রমণকারীদের ছবি অনলাইনে ছড়িয়ে পড়ার পরই ঢাকার ব্যবসায়ী ইমতিয়াজ খান বাবুল প্রথম জানতে পারেন যে তাদের মধ্যে একজন হচ্ছে তার ছেলে রোহান ইবনে ইমতিয়াজ – যে ছয় মাস আগে হঠাৎ করেই নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল।

বিবিসি বাংলাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে মি. খান বলছিলেন, “শুক্রবার আমার বড় ভাই মারা যান। তার কুলখানি নিয়ে পারিবারিক কথাবার্তার মধ্যেই শনিবার আমাকে একজন ফোন করে জানালেন, গুলশানের হোলি আর্টিজানে আক্রমণের পর আইএসের ওয়েবসাইটে যে ছবি দেয়া হয়েছে তাতে আপনার ছেলের ছবি এসেছে। শুনে আমি হতভম্ব হয়ে গেলাম। দৌড়ে বাড়িতে আসলাম।“

“ফেসবুকে দেখলাম, কনফার্ম হলাম : পাঁচজনের যে ছবি দিয়েছে তাতে আমার ছেলের ছবি আছে।“

গুলশানে কাফেতে আক্রমণের পর দিন সকালে চালানো সেনা অভিযানে আক্রমণকারীদের পাঁচ জন নিহত হয়, একজন আহত অবস্থায় ধরা পড়ে।

“আমার ছেলে রোহান গত ডিসেম্বরের ৩০ তারিখ থেকে নিখোঁজ। সে সময় আমি ও আমার স্ত্রী চিকিৎসার জন্য কোলকাতায় ছিলাম। ত্রিশ তারিখ রাতে ওর দুই বোন একটি দাওয়াত থেকে ফিরে এসে দেখতে পায়, রোহান বাড়িতে নেই।“

 
160704132154_imtiaz_khan_babul-father_of_gulshan_attacker_640x360_fb_nocredit
ইমতিয়াজ খান বাবুল

“দারোয়ানকে জিজ্ঞেস করতে সে বললো, সন্ধ্যেবেলা কলেজে যাবার ব্যাগ নিয়ে সে বেরিয়ে গেছে। জিজ্ঞেস করাতে সে বলেছিল, ইউনিভার্সিটিতে যাচ্ছে। এ খবর শোনর পর আমি এক তারিখ ঢাকা ফিরে আসি।“

“আমার যত আত্মীয়স্বজন, ওর বন্ধুবান্ধবদের যে কয়েকজনকে চিনতাম তাদের কাছে খোঁজখবর নিলাম, ও কোথাও নেই। এর পর আমি থানায় একটা জিডি করলাম। তার পর আমি মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে দেখা করলাম, কথা বললাম। আইজিপি, র‍্যাব, যেখানে যত সোর্স আছে সবার সাথে কথা বললাম, খুঁজলাম, ছবি দিলাম। কিন্তু ওর কোন খোঁজই আমরা পাইনি। ও কোথায় গেছে কোন তথ্য নেই, কোন যোগাযোগ নেই। অনেক চেষ্টা করেছি, অনেক খুঁজেছি।“

“ও আমার একমাত্র ছেলে। বাবা হিসেবে যা করার সবই চেষ্টা করেছি। মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে আমি অন্তত চার বার গেছি। উনিও অনেক চেষ্টা করেছেন। কোন সন্ধান পাওয়া যায় নি।“

“ওর পাসপোর্ট ছিল কিন্তু তাতে কোন দেশেরই ভিসা করা ছিল না। ওই পাসপোর্ট তার কাছেই ছিল। কিন্তু ওই পাসপোর্ট নিয়ে সে যাতে দেশের বাইরে যেতে না পারে – ইমিগ্রেশনকে বলে আমি সে ব্যবস্থাও করেছিলাম।“

 
কট্টরপন্থী ইসলামের দিকে যে রোহন ঝুঁকে পড়েছে – এমন কোন সন্দেহ কি তার হয়েছিল?

“আমার ছেলে ক্লাস ফাইভে পড়ার সময় থেকেই পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে। ওর নানার সাথে মসজিদে যাওয়া শুরু করেছিল। কিন্তু অন্য ধরণের কোন কিছু আমরা কল্পনাও করতে পারি নি। বাসায় কোন বই-টই বা ওই জাতীয় কিছু কখনো ছিল না। আমাদের নজরে আসে নি।“

“আমার ছেলে যখন এ লেভেলে – সে পর্যন্ত তার দিকে বেশি খেয়াল রাখতাম। কিন্তু ইউনিভার্সিটিতে ওঠার পর কি আর ওই ভাবে খেয়াল রাখা যায়? তবে ওর রুমে আমরা মধ্যে মধ্যে যেতাম, দেখতাম। কোন কিছু নজরে পড়ে নি।“

তাহলে কি ভাবে এটা হলো? রোহানের বাবা বলছেন, তিনি ভেবে কোন কুলকিনারা করতে পারছেন না।

“কুলকিনারা খুঁজে পাচ্ছি না। ঘটনার আকস্মিকতায় আমরা এতই হতভম্ব। এত দু:খজনক, লজ্জাজনক একটা ঘটনা। কি বলবো। পুলিশের কর্মকর্তা শেখ মারুফ সাহেব ওই সন্ধান পাবার চেষ্টায় অনেক সাহায্য করেছিলেন। আর এই ঘটনায় তিনিই গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন। এটা যে কত লজ্জাজনক, তা আমি বোঝাতে পারছি না।“

২

আমি ব্যবসার কাজে ব্যস্ত, ওর মা-ও টিচার, সে-ও ব্যস্ত থাকে। এই কারণে হয়তো হতে পারে যে আমরা নজর দিতে পারি নি। কিন্তু তখন তো তা বুঝি নি। কারো সাথে তার কোন ঝগড়া কথা-কাটাকাটি হয় নি । সে লেখাপড়া করছে, ভালো রেজাল্ট করছে, টিচাররা আমাদের কনগ্রাচুলেট করছে, আমরা ভাবছি সব ঠিকই আছে।বুঝতেই পারছি না কিভাবে কি হলো।“

“ তবে একটা কথা বলি। আমার ছেলের সন্ধা্ন করতে গিয়ে আমি দেখতে পেলাম যে এরকম অনেক ছেলেই নিখোঁজ হয়ে আছে। অনেক ভালো ভালো ছেলে। এডুকেটেড ফ্যামিলির ছেলে, অফিসারের ছেলে, সরকারী কর্মকর্তার নিখোঁজ। তারাও খুঁজে পাচ্ছে না। এরকম কয়েকজনকেই আমি চিনি। তাদের সাথে আমি আমার কষ্টের কথা শেয়ার করতাম।“

তাহলে কেন কিভাবে এমনটা হলো?

“আমরা বুঝে উঠতে পারছি না। হয়তো ইন্টারনেট থেকে হতে পারে, কিন্তু আমি জানি না কিভাবে হয়েছে। অনুমান করতে পারি। ইন্টারনেট ছাড়া আর কিছু তো আমার মাথায় আসছে না। কিন্তু আমরা তো চোখে দেখি নি কিছু।“

শেয়ার করুন

Leave a Reply

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2020 Dailycoxsbazar
Theme Customized BY Media Text Communications