শত শত বছর ধরে উপমহাদেশের গ্রামগুলিতে খড়ের কুচি মেশানো গোবর রোদে শুকিয়ে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হয়। হিন্দুদের কাছে গরু পবিত্র প্রাণী হিসেবে বিবেচিত। অনেক ধর্মোৎসবেও গরুর গোবর বা ঘুটে পোড়ানো হয়। তবে আধুনিক এই যুগে নগরের হিন্দুরা ধর্মোৎসব পালন করতে গোবরেরতো দেখাই পান না। এছাড়া গ্রামে যারা বড় হয়ে বাকী জীবনটা শহরেই কাটিয়ে দিচ্ছেন তারাও ধর্মীয় উৎসবগুলিতে নস্টালজিয়াতে ভোগেন। শহুরে এসব মানুষদের টার্গেট করে অনলাইন বিক্রিতেরা ঘুটে বাজারে এনেছেন। যেসব ক্রেতা বেশ বড়সড় অর্ডার দিচ্ছেন তাদের জন্য বিশেষ ছাড়ও দেওয়া হচ্ছে। অনেক ক্রেতা আবার অন্যকে উপহার হিসেবে দেওয়ার জন্য ঘুটের প্যকেট বিশেষভাবে মুড়িয়ে দেওয়ার অর্ডারও দিচ্ছে।
অনলাইন খুচরা বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান আমাজনের ভারতীয় মুখপাত্র মাধবী কোসার বলেন, ‘গত অক্টোবর থেকে একাধিক অনলাইন বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান গরুর গোবর বিক্রি করছে। আমরা ইতিমধ্যে বেশ কিছু অর্ডারও পেয়েছি।’
ধর্মীয় উৎসবগুলিতে শুকনা গোবর ব্যাপক বিক্রি হয়ে জানিয়ে শপক্লুস নামে ভারতের অনলাইন বিক্রয় প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা আগরওয়াল বলেন, ‘ দিওয়ালিতে লোকজন যখন বাড়িতে ও কর্মস্থলে ব্যাপক পূজা-অর্চনা করে তখন গোবরের ব্যাপক চাহিদা থাকে।’
অনলাইনে বিক্রি হওয়া দুই থেকে আটটি ঘুটের প্যাকেটের ওজন ২০০ গ্রাম। এর প্রতিটি প্যাকেট ১০০ থেকে ৪০০ রুপিতে বিক্রি হচ্ছে।