খানিকটা অনিশ্চয়তা তো ছিলই ম্যাচের ফল নিয়ে। সাকিব আল হাসানের এসব অনিশ্চয়তা-উত্তেজনা ভালো লাগে না। টানা দুই বলে চার মেরে অনিশ্চয়তা দূর করলেন সাকিব। লুক জঙ্গুয়েও ওয়াইডে ৫ রান দিয়ে ঝামেলা চুকোলেন। প্রথম টি-টোয়েন্টি বাংলাদেশ জিতে গেল ৪ উইকেট আর ৮ বল হাতে রেখে।
১৬৪ রানের লক্ষ্যে শুরুটা ভালো করেও খেই হারিয়ে ফেলেছিলেন সৌম্য-তামিমরা। দুর্ভাগ্যজনক রান আউটে সৌম্য ফেরায় ভাঙে তাদের ৩১ রানের জুটি। শুভাগত হোম আরও একবার সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ। দৃশ্যপটে এসে আলোটা কেড়ে নিলেন সাব্বির রহমান ও মুশফিকুর রহিম। সাব্বির করলেন ৩৬ বলে ৪৬ রান আর তাঁকে সঙ্গ দেওয়া মুশফিকের রান ১৯ বলে ২৬। কিন্তু এই দুজন আউট হতেই আবার বিপদে বাংলাদেশ। একটু পরে মাহমুদউল্লাহ যখন আউট হলেন, ম্যাচ জিততে তখনো ২৭ রান দরকার বাংলাদেশের, হাতে আছে মাত্র ৪ উইকেট।
আরও একবার মনে পড়ে গেল, ১৬০-এর বেশি তাড়া করে বাংলাদেশ একবারই জিতেছে। সেটিও আট বছর আগে। দুশ্চিন্তা বাড়ছিলই। আফগানদের কাছে নাকানি-চুবানি খেয়ে আসা জিম্বাবুয়ের কাছে হেরে ২০১৬ শুরু করবে বাংলাদেশ!
কিন্তু না, ২০১৫-এর সোনালি সাফল্যে কালো দাগ পড়তে দিলেন না সাকিব। অভিষিক্ত নুরুল হাসানকে নিয়ে ম্যাচ জিতিয়েই ফিরেছেন তিনি। ১৩ বলে ২০ রান করে বল হাতে খারাপ করাটা পুষিয়ে দিয়েছেন সাকিব। ৭ রানে অপরাজিত নুরুল ছোট্ট ইনিংসটাতেও নিজের সম্ভাবনার গান শুনিয়েছেন সাহসী-সুন্দর একটা শট খেলে। চাপের মুখেও সহজাত খেলা থেকে সরে না এসে।
ম্যাচ সেরা হয়েছেন ৭৯ রান করা হ্যামিল্টন মাসাকাদজা। তাঁর ইনিংসে ভর করেই জিম্বাবুয়ে তুলেছিল ১৬৩।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
জিম্বাবুয়ে: ২০ ওভারে ১৬৩/৭ (সিবান্দা ৪৬, মাসাকাদজা ৭৯, ওয়ালার ১৪; আল-আমিন ২/২৪, মুস্তাফিজ ২/১৮, সাকিব ১/৪৫)
বাংলাদেশ: ১৮.৪ ওভারে ১৬৬/৬ (তামিম ২৯, সৌম্য ৭, সাব্বির ৪৬, শুভাগত ৬, মুশফিক ২৬, সাকিব ২০*, মাহমুদউল্লাহ ৭, নুরুল ৭*; ক্রেমার ২/৩২, মাসাকাদজা ১/২৫, জঙ্গুয়ে ১/৪৫, উইলিয়ামস ১/২২)
ফল: বাংলাদেশ ৪ উইকেটে জয়ী (৮ বল হাতে রেখে)
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: হ্যামিল্টন মাসাকাদজা