অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলাদেশ ও নামিবিয়া
ডেইলি কক্সবাজার ডেস্ক ::
আপডেট সময়
সোমবার, ১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬
২৭৮
বার পড়া হয়েছে
ভিতটা গড়ে দিয়েছিলেন ব্যাটসম্যানরা। আরও স্পষ্ট করে বললে নাজমুল হোসেন শান্তর অনবদ্য সেঞ্চুরিটা। বোলাররা শুধু সেই জমিনে প্রয়োজনীয় চাষাবাদই করেছেন। দিন শেষে স্কটল্যান্ডকে হারিয়ে আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে গেল স্বাগতিক বাংলাদেশ।
কক্সবাজারের শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে স্কটল্যান্ড অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে ১১৪ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। টাইগার জুনিয়রদের এই জয়ে ‘এ’ গ্রুপের শেষ আটের লাইনআপও ঠিক হয়ে গেল। ‘এ’ গ্রুপ থেকে কোয়ার্টার ফাইনালে গেল বাংলাদেশ ও নামিবিয়া। দুদলই দুটি করে ম্যাচ জিতেছে। দুটি করে ম্যাচ হেরে বাদ পড়ল ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন দক্ষিণ আফ্রিকা ও স্কটল্যান্ড।
রোববার প্রথমে ব্যাট করে নাজমুলের সেঞ্চুরিতে ৬ উইকেটে ২৫৬ রান করে বাংলাদেশের যুবারা। রানের জন্য হাঁসফাঁস করতে থাকা স্কটল্যান্ড যুব দল ৪৭.২ ওভারে ১৪২ রানে অলআউট হয়। বাংলাদেশ দলের সহঅধিনায়ক নাজমুল ম্যাচ সেরা হন।
২৫৭ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ভালো শুরুই পেয়েছিল স্কটিশরা। ওপেনিং জুটিতেই ৪৮ রান তুলে দলটি। ইনিংসের ১৩তম ওভারে ব্রেক থ্রু এনে দেন অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। স্কটল্যান্ড অধিনায়ক নেইল ফ্লেক ২৮ রান করে নাজমুলের হাতে ক্যাচ দেন। ওই ওভারেই রানআউট হন ওয়াইজ শাহ। ছোট ছোট জুটি গড়ে এগিয়ে যেতে থাকলেও উইকেট পতনের ধারা থেকে বের হতে পারেনি স্কটল্যান্ড। বাংলাদেশের বোলারদের চাপে রান তুলতে সংগ্রাম করতে হয়েছে তাদের। কিছুটা প্রতিরোধ গড়েছেন আজিম ডার। তিনি ৫০ রান করেন। এছাড়া জনস্টন ২০, ওয়ালার ২৪ রান করেন। বাংলাদেশের সাইফুদ্দিন ও সালেহ আহমেদ শাওন ৩টি করে উইকেট নেন। সঞ্জিত সাহার জায়গায় খেলা বাঁহাতি স্পিনার আরিফুল ইসলাম নিয়েছেন ২ উইকেট।
এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশ যুবদলের শুরুটা ভালো ছিল না। ১৭ রানে ২ উইকেট হারিয়ে বসে টাইগার জুনিয়ররা। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই ওপেনার পিনাক ঘোষ (০) এলবির ফাঁদে পড়েছেন মোহাম্মদ গাফফারের বলে। একই বোলারের শিকার হয়ে ফিরেছেন জয়রাজ শেখও। ১৩ রান করেন জয়রাজ। তৃতীয় উইকেটে ওপেনার সাইফ হাসানের সঙ্গে ১০১ রানের জুটি গড়েন নাজমুল হোসেন শান্ত। তাদের জুটিই দলকে বিপদমুক্ত করে চ্যালেঞ্জিং স্কোরের ভিত গড়ে দেয়। সাইফ হাসান ৪৯ রান করে ফিরেন দলীয় ১১৮ রানে।
চতুর্থ উইকেটে অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজের সঙ্গেও ১০০ রানের জুটি গড়েন নাজমুল। এ যাত্রা মিরাজ গাফফের তৃতীয় শিকার হয়ে ফিরেন। তিনি ৫১ রান করেন। একপ্রান্ত আগলে থাকা নাজমুলের ব্যাট ঘিরেই বাংলাদেশের ইনিংস আবর্তিত হয়েছে। ৭১ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন নাজমুল। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরিটা করেছেন তিনি ১১১ বলে। শেষ অবধি ১১৭ বলে ১০টি চারে অপরাজিত ১১৩ রান করেন নাজমুল। পাকিস্তানের সামি আসলামের ১ হাজার ৬৯৫ রান টপকাতে এদিন ৬১ রান দরকার ছিল তার। ইনিংসের ৩৮তম ওভারে চার মেরে সামিকে ছাড়িয়ে রেকর্ড বগলদাবা করেন নাজমুল। যুব ক্রিকেটে ৫৪ ম্যাচে দুই সেঞ্চুরিতে তার রান এখন ১ হাজার ৭৪৭ রান। হাফ সেঞ্চুরির পর সেঞ্চুরি মিলে টুর্নামেন্টে ভালোই ছন্দে আছে নাজমুলের ব্যাট। সাঈদ সরকার ১৬ রান করেন। স্কটল্যান্ডের গাফফার ৪টি উইকেট পান।