পুলিশ সদস্যদের মাধ্যমেই আন্তর্জাতিক অঙ্গনে খ্যাতি পাওয়া পুলিশ বাহিনীর ইমেজ নষ্ট করার ষড়যন্ত্র চলছে বলে মনে করছে সংসদীয় কমিটি। সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে পুলিশ এতো সফলতা অর্জন করলেও দুই চারজন পুলিশ সদস্যের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড জনগণের কাছে পুরো বাহিনীকেই বিতর্কিত করে তুলছে। কমিটি পুলিশের ইমেজ রক্ষায় অপরাধের সঙ্গে জড়িত সদস্যদের কঠোর শাস্তি নিশ্চিত ও সেই শাস্তি দৃশ্যমান করার সুপারিশ করেছে।
আজ বুধবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এই সুপারিশ করা হয়। এ ছাড়াও কমিটির পক্ষ থেকে তল্লাশির নামে কোনো নাগরিক যেন অহেতুক হয়রানির শিকার না হন সে বিষয়ে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বনের জন্য বলা হয়েছে। আর প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে তল্লাসী কার্যক্রম নিয়মিত মনিটরিং করার তাগিদ দেওয়া হয়েছে।
বৈঠক শেষে কমিটির সদস্য আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন সাংবাদিকদের বলেন, পুলিশ বাহিনী অনেক ভাল কাজ করছে, তবে দুই-চারজন সদস্য অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। তাদের শাস্তি নিশ্চিত ও দৃশ্যমান করার সুপারিশ করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, পুলিশ বাহিনীর ইমেজ নষ্ট করার একটা প্রচেষ্টা চলছে। এজন্য পুলিশ বাহিনীকে আরো বেশি সর্তক হওয়ার তাগিদ দেওয়া হয়েছে।
কমিটির আরেক সদস্য ফখরুল ইমাম বলেন, তল্লাশির ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষকে যেন হয়রানি করা না হয় সেদিকে লক্ষ্য রেখে আরো ভালোভাবে তল্লাশি চালানোর জন্য পুলিশ বাহিনীকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
কমিটির সভাপতি টিপু মুনশির সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, মো. শামসুল হক টুকু, মো. ফরিদুল হক খান, আবুল কালাম আজাদ, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, ফখরুল ইমাম ও কামরুন নাহার চৌধুরী এবং সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এ ছাড়াও কমিটি সূত্রে জানা গেছে, বৈঠকে সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মকর্তা গোলাম রাব্বী, সিটি কর্পোরেশনের এক কর্মকর্তা এবং অতি সম্প্রতি এক ছাত্রী হয়রানির বিষয়টি সামনে এনে কমিটিতে আলোচনা হয়। বৈঠকে বলা হয়, এ ধরনের ঘটনা পুলিশ বাহিনীর ইমেজকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। এই দু’য়েকজনের দায় পুরো পুলিশ বাহিনী নিতে পারে না বলে কমিটিকে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে কমিটি পুলিশের ইমেজ ফিরিয়ে আনতে অপরাধীদের কোনোভাবেই ছাড় না দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। এছাড়া ঢাকা-চট্টগ্রাম হাইওয়ে রোডের নিরাপত্তায় পুলিশের পাশাপাশি পরিবহন মালিক কর্তৃপক্ষকে এগিয়ে আসার এবং ড্রাইভার নিয়োগে পুলিশের সুনির্দিষ্ট নীতিমালা অনুসরণের সুপারিশ করা হয়।