ওই কর্মকর্তা আরো বলেন, ‘এই পরিস্থিতিতে রাশিয়ার বিমান হামলাগুলোর পেছনে আইএস দমনই একমাত্র উদ্দেশ্য কিনা, এ ব্যাপারে আমরা নিশ্চিত নই। তারা পরোক্ষভাবে ইউরোপে শরণার্থী সংকট সৃষ্টি করতে চাইছে। এটা শুধু ন্যাটো বা ইউরোপীয় ইউনিয়নকে চাপে ফেলতে নয়, বিষয়টি মানবিক অভিঘাতেরও।’
রাশিয়ার বিমান হামলায় নিহত ৫৭
এদিকে, সিরিয়ার ইদলিব প্রদেশে রাশিয়ার বিমান হামলায় কমপক্ষে ৫৭ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরো ৩০ জন। গত শনিবার ব্রিটেনভিত্তিক মানবাধিকার পর্যবেক্ষণ সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস এ তথ্য জানিয়েছে। সিরিয়ার বেসামরিক প্রতিরক্ষা বিভাগ জানিয়েছে, রাজধানী দামেস্ক থেকে ২৯০ কিলোমিটার উত্তরে মারাত আল-নুমান শহরে রাশিয়া বিমান হামলা চালায়। সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, যেখানে হামলাটি চালানো হয়েছে, সেটা আল-কায়েদার সহযোগী সংগঠন নুসরা ফ্রন্টের যোদ্ধারা কারাগার ও শরিয়া আদালত হিসেবে ব্যবহার করত। হামলায় ২১ জন বেসামরিক নাগরিক, ২৯ জন জঙ্গি এবং ৭ জন বন্দি নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরো ৩০ জন। তাদের অনেকের অবস্থাই গুরুতর। তাই নিহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে।
মিসাইল চায় বিদ্রোহীরা
আসাদ সরকারের সঙ্গে আলোচনার ব্যাপারে হতাশা ব্যক্ত করে আন্তর্জাতিক শক্তির কাছ থেকে বিমানবিধ্বংসী মিসাইল চেয়েছে সিরিয়ার অন্যতম শক্তিশালী বিদ্রোহী সংগঠন জয়েশ আল-ইসলাম। দলটির পক্ষ থেকে দেয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘জনগণ যখন বোমায় ও ক্ষুধার কষ্টে মারা যাচ্ছে, তখন একটি রাজনৈতিক সমাধানের জন্য আলোচনায় বসাটা গ্রহণযোগ্য কিছু নয়। এই পরিস্থিতিতে দামেস্ক সরকারকে একটি রাজনৈতিক বন্দোবস্ত মেনে নিতে বাধ্য করার একমাত্র উপায় হলো, বিদ্রোহী দলগুলোর সমর্থক রাষ্ট্রগুলো যাতে তাদের বিমানবিধ্বংসী মিসাইল দিয়ে সাহায্য করতে পারে, সেই ব্যবস্থা করা।’