সফরকারী শ্রীলঙ্কাকে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজে ২-১ এ হারিয়েছে স্বাগতিক ভারত। সিরিজ জয়ী দলটির থেকে এখনও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু মহেন্দ্র সিং ধোনির দ্বিতীয় ম্যাচের একটি ডিসমিসাল। রাঁচিতে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় ম্যাচে টিম ইন্ডিয়ার দলপতি ধোনি লঙ্কানদের ওপেনার দিলশানকে স্ট্যাম্পিংয়ের ফাঁদে ফেলে সাজঘরে ফেরত পাঠান।
উইকেটরক্ষদের কাছে যদি স্ট্যাম্পিং একটি শিল্প হয়, তবে ধোনিকে ধরা হচ্ছে অসাধারণ একজন শিল্পী।
দ্বিতীয় ম্যাচে লঙ্কানদের হয়ে ব্যাটিং উদ্বোধন করতে নামেন দিলশান ও গুনাথিলাকা। ইনিংসের প্রথম ওভারটি করতে আসেন ভারতের স্পিনার রবীচন্দ্রন অশ্বিন। প্রথম বলেই বলের লাইন মিস করেন দিলশান। লঙ্কান এ ওপেনারকে স্ট্যাম্পিং করেন ‘ক্যাপ্টেন কুল’ খ্যাত ধোনি। আর এই ডিসমিসাল নিয়েই যত আলোচনা। একই ম্যাচে লঙ্কান দলপতি দিনেশ চান্দিমালকেও স্ট্যাম্পিং করে বিদায় করেন ধোনি।
সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় ম্যাচে ধোনির গ্লাভসবন্দি হন সেনানায়েকে। তার আগেই ওপেনার দিকওয়েলাকে স্ট্যাম্পিংয়ের ফাঁদে ফেলেন উইকেটের পেছনে দাঁড়ানো টিম ইন্ডিয়ার দলপতি।
ধোনির অনবদ্য স্ট্যাম্পিং নিয়ে চলে চুলচেরা বিশ্লেষণ। অনেকেই নিজেদের অভিমত ব্যক্ত করে জানান, ‘কোহলি একসময় ভারতীয় ব্যাটিং ঈশ্বর শচীন টেন্ডুলকারকে ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রাখে, তবে ধোনির সেই স্ট্যাম্পিংটি কেউই করে দেখাতে পারবেন না। এত দ্রুতগতিতে কোনো উইকেটরক্ষককে স্ট্যাস্পিং করতে অন্তত তার ২০ বছর লাগবে’।
সবশেষ দলের আরেক স্পিনার রবীন্দ্র জাদেজা নিজের টুইটারে সেই ডিসমিসাল নিয়ে লেখেন, ‘আইনস্টাইনের আলোর তত্ত্ব ভুল। আলোর থেকেও ধোনির স্ট্যাম্পিংটি আরও দ্রুত।’
এর আগে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মাত্র ০.১ সেকেন্ডে স্ট্যাম্পিং করে রেকর্ড গড়েন ধোনি। স্ট্যাম্পিং নিয়ে বিশ্ব রেকর্ডটিও তার দখলে। সব ধরনের ক্রিকেটে ১৪৩টি স্ট্যাম্পিং করেছেন টিম ইন্ডিয়ার দলপতি ধোনি।