শিব চর্তুদশী পূজা ও দর্শন উপলক্ষ্যে হাজার হাজার পূজারী আর পর্যটকদের পদভারে মুখরিত হয়ে উঠেছে এশিয়ার বৃহত্তম হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের র্তীথস্থান মহেশখালীর ঐতিহ্যবাহী আদিনাথ মন্দির প্রাঙ্গণ। এ উপলক্ষে মৈনাক পাহাড়ের পাদদেশে বসেছে সনাতন ধর্মাবল্বীদের মিলন মেলা। হিন্দু সম্প্রদায় ছাড়াও এ মিলনমেলায় সামিল হয়েছেন দেশ-বিদেশের বিভিন্ন সম্প্রদায়ের নর-নারী। ৭ মার্চ সোমবার ভোর থেকে আদিনাথ মন্দিরে শিবকে স্নান করানোর জন্য ভীড় করতে থাকে নর-নারীরা। ডাব, দুধ দিয়ে একে একে দেবাদিদেব মহাদেব শিবকে স্নান করানোর মধ্যে দিয়ে নিজেদের পূণ্য অর্জনের চেষ্টা চালান দর্শণার্থী পুজারীরা। শিবলিঙ্গকে স্নান করানোর পাশাপাশি দেশ-বিদেশের তীর্থ যাত্রীরা ছাগল, কবুতরসহ মানতের বিভিন্ন জিনিসপত্র ও প্রাণী নিয়ে এসে মাঙ্গলিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এবং ধর্মীয় আচারের মাধ্যমে তা সম্পাদন করেন। আর শিব লিঙ্গকে স্নান করিয়ে পূণ্য অর্জনের নিমিত্তে বাংলাদেশ ছাড়াও বিশ্বের বিভিন্ন স্থান থেকে বিশেষ করে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত, নেপাল, মালদ্বীপ, শ্রীলংকা, মিয়ানমারসহ বিভিন্ন দেশ থেকে শত শত পুজারী এসে সমবেত হয় বঙ্গোপসাগরের কূল ঘেষা মৈনাক পাহাড়ের চূড়ার আদিনাথ মন্দিরে। এদিকে প্রতিবারের মতোই নৌ পথে অর্থ্যাৎ কক্সবাজার শহর থেকে মহেশখালী যাতায়াতে চরম দুর্ভোগ আর হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে হাজার হাজার তীর্থযাত্রীকে। তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে তীর্থযাত্রীদের হয়রানি আর দুর্ভোগ কমাতে এবার যথাযথ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। আর প্রতি বছরের ফাল্গুণ মাসে কৃষ্ণপক্ষের চর্তুদশীতে আদিনাথ মন্দিরে মৈনাক পাহাড়ে তীরে বসে এ মিলনমেলা। আর এ মিলন মেলাকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, নেপাল, শ্রীংলকা, মিয়ানমারসহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রন্তর থেকে হাজার হাজার তীর্থযাত্রী প্রতিদিনই ভিড় জমাচ্ছে। মেলায় পূজারীদের পাশাপাশি মুসলমান,রাখাইনসহ বিভিন্ন জাতী ধর্মের লোকজনের সমাগম হচ্ছে। ছেলে বুড়ো সকলেই মেলায় যাচ্ছে সমান তালে। ৭ মার্চ সোমবার সকাল থেকে শুরু হওয়া এ মেলা চলবে ১৪ মার্চ পর্যন্ত। তীর্থযাত্রীদের সেবা দেওয়ার জন্য শতাধিক স্বেচ্ছাসেবক কাজ করছে বলে জানিয়েছেন আদিনাথ মন্দির পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি পূর্ণ চন্দ্র দে।
মহেশখালী আদিনাথ মেলার সুপারভাইজিং কমিটির সহ-সম্পাদক কমল কৃঞ্চ ঘোষ বলেন, দেশ বিদেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আগত দর্শনাথীরা সুন্দর পরিবেশের মধ্যেদিয়ে পূজা ও মেলা উপভোগ করতে পেরে তাঁরা খুশি এবং শান্তিপূর্ণ পূজা উৎযাপন করতে পেরে স্থানীয় প্রশাসনকে সাদুবাধ জানান পুজারীরা।
মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ বাবুল চন্দ্র বণিক জানান, তীর্থযাত্রীদের নিরাপত্তায় পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে এবং পুলিশী পাহারায় নিরাপত্তার বলয় তৈরী করে পূজা ও মেলা পরিচালিত হচ্ছে। আশাকরি পূজা ও মেলা শান্তিপূর্ণ ভাবে সমাপ্ত হবে।