লাখে প্রাণের উচ্ছ্বাসে শনিবার সন্ধ্যায় শেষ হলো সাগরপাড়ে সর্ববৃহৎ উৎসব তিনদিন ব্যাপী মেগা বীচ কার্নিভাল। তিনদিনব্যাপী প্রাণের উৎসবের আয়োজনে ছিলো বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড, পর্যটন কর্পোরেশন, বীচ ম্যানেজম্যান্ট কমিটি ও জেলা প্রশাসন।
গত ৩১ ডিসেম্বর জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে ওই কার্নিভাল শুরু হয়। প্রতিবছর আয়োজনের প্রত্যয়ে শনিবার ডুবন্ত বেলায় আনন্দ আর উল্লাসে সমাপ্তি ঘটে এই কার্নিভালের। প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত হাজার হাজার নারী পুরুষ শিশুর উপস্থিতি সৈকতকে মুখরিত করে তুলেছিল। কার্নিভাল উপলক্ষে রঙ্গিন আলোয় আলোকিত করা হয়ে উঠেছিল সৈকত। তিন দিনের এই কার্নিভালে উৎসব মুখর পদচারণা ছিল পর্যটকদের। পুরো শহর পরিণত হয়েছিলো উৎসবের নগরীতে।
প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী ২০১৬ সালকে পর্যটন বর্ষকে সামনে রেখে ৩১ ডিসেম্বর কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে শুরু হয়েছিল ৩দিন ব্যাপী মেগা বীচ কার্নিভাল। ৩১ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টায় জমকালো আয়োজন আর ইতিহাস সৃষ্ঠিকারি র্যালীর মাধ্যমে শুভ সূচনা হয় কার্নিভালের। পরে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পূর্বে বায়তুশ শরফ জব্বারিয়া একাডেমির চার শতাধিক শিক্ষার্থীর পরিবেশনায় ষোলআনা বাঙ্গালীয়ানার ডিসপ্লে দর্শকদের নজর কাড়ে। ওই ডিসপ্লেতে প্রতীকি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ৭ মার্চের ভাষণের প্রতীকি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে দেখে উপস্থিত অতিথিসহ পর্যটকরা হন অভিভূত ।
কার্ণিভ্যাল আয়োজন নিয়ে স্থানীয় লোকজন ছাড়াও সন্তুষ্ট পর্যটন সংশ্লিষ্ঠরা। পর্যটন ব্যবসায়ীদের মতে, এই কার্ণিভ্যাল যাতে প্রতিবছর করা হয়। কারণ এই কার্ণিভ্যালের মাধ্যমে কক্সবাজারের পর্যটন আরো একধাপ এগিয়ে যাবে। পর্যটকের উপস্থিতি বাড়ার পাশাপাশি সরকারের রাজস্বও বাড়বে।
তবে এই কার্ণিভাল নিয়ে কিছুটা অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন কেউ কেউ। অনেকেই বলেন, যেসব আয়োজন উপস্থাপন করার কথা ছিল তার প্রত্যাশিত তেমন কিছু হয়নি। কার্ণিভালে পর্যটকরা পেয়েছে মাত্র শিল্পীদের গানের কনসার্ট। তারপরও এই আয়োজন অব্যাহত রাখার দাবী পর্যটক ও স্থানীয়দের।
ট্যুরিষ্ট পুলিশ ও জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে টানা তিন দিনের এ আয়োজনে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছিল । শান্তিপূর্ণ পরিবেশে মেগা বীচ কার্ণিভাল সম্পন্ন করতে পারায় পর্যটক ও স্থানীয়দের ধন্যবাদ জানান জেলা পুলিশ সুপার শ্যামল কুমার নাথ।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মোঃ আলী হোসেন বলেন, প্রথমবারের মত এতবড় একটি আয়োজন সফলভাবে সম্পন্ন করতে পেরেছি বলে নিজেকে ধন্য মনে করছি। আগামীতেও এই আয়োজন সবার সহযোগীতায় আরো সফলভাবে করতে উদ্যোগ নেওয়া হবে । আগামী বছরও কার্নিভালে আসার জন্য তিনি সকলকে আহবান জানান।