1. arif.arman@gmail.com : Daily Coxsbazar : Daily Coxsbazar
  2. dailycoxsbazar@gmail.com : ডেইলি কক্সবাজার :
  3. litonsaikat@gmail.com : ডেইলি কক্সবাজার :
  4. shakil.cox@gmail.com : ডেইলি কক্সবাজার :
  5. info@dailycoxsbazar.com : ডেইলি কক্সবাজার : Daily ডেইলি কক্সবাজার
‘আমরা শো-পিস নই, কাজ করতে পারছি’ - Daily Cox's Bazar News
মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫, ০৭:২২ অপরাহ্ন
নোটিশ ::
ডেইলি কক্সবাজারে আপনার স্বাগতম। প্রতি মূহুর্তের খবর পেতে আমাদের সাথে থাকুন।
সংবাদ শিরোনাম ::
কট্টরপন্থী ইসলামী দল হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের জন্য চ্যালেঞ্জ: এসএডিএফ কক্সবাজারের আট তরুণ তরুণীকে ‘অদম্য তারূণ্য’ সম্মাননা জানাবে ঢাকাস্থ কক্সবাজার সমিতি Job opportunity বিশ্বের সবচেয়ে বড় আয়না, নাকি স্বপ্নের দেশ! আল-আকসা মসজিদে ইহুদিদের প্রার্থনা বন্ধের আহ্বান আরব লীগের পেকুয়ায় পুলিশের অভিযানে ৮০ হাজার টাকার জাল নোটসহ গ্রেফতার-১ পেকুয়ায় অস্ত্র নিয়ে ফেসবুকে ভাইরাল : অস্ত্রসহ আটক শীর্ষ সন্ত্রাসী লিটন টেকনাফে একটি পোপা মাছের দাম হাঁকাচ্ছেন সাড়ে ৭ লাখ টাকা ! কক্সবাজারের টেকনাফে র‍্যাবের অভিযানে ইয়াবাসহ আটক-১ নিউ ইয়র্কে মেয়র কার্যালয়ে শহীদ মিনার নির্মাণ নিয়ে কনসাল জেনারেলের আলোচনা

‘আমরা শো-পিস নই, কাজ করতে পারছি’

ডেইলি কক্সবাজার ডেস্ক ::
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ২৬ জুলাই, ২০১৬
  • ২৭৩ বার পড়া হয়েছে

চট্টগ্রাম: কাজের ক্ষেত্রে মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের পূর্ণ সহযোগিতা পাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলররা।  মেয়র তাদের মূল্যায়ন করেন, ‘নারী নয়, সংরক্ষিত কাউন্সিলর হিসেবে। ’ তবে নীতিমালা পরিবর্তন না করা, বাজেট বরাদ্দে বৈষম্য, লোকবল না থাকায় সাধারণ কাউন্সিলরদের তুলনায় কাজের বেলায় পিছিয়ে পড়ছেন তারা।

মেয়রের দায়িত্ব গ্রহণের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) বাংলানিউজের কথা হয় সংরক্ষিত কাউন্সিলর নীলু নাগ, আনজুমান আরা বেগম, মনোয়ারা বেগম মনি ও জেসমিনা খানমের সঙ্গে।

মেয়র আমাদের মূল্যায়ন করেন নারী নয়, সংরক্ষিত কাউন্সিলর হিসেবে উল্লেখ করে ২২, ৩০ ও ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত কাউন্সিলর নীলু নাগ বলেন, কাজের ক্ষেত্রে মেয়রের কাছ থেকে পূর্ণ সহযোগিতা পাচ্ছি।  যখনই কোনো সমস্যা নিয়ে মেয়রের কাছে যাই উনি তা দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করেন।  নারী হিসেবে কোনো কাজ বা প্রকল্পের দায়িত্ব আমাদের দেবেন না, এমনটি হয় না। পুরুষ কাউন্সিলরদের মধ্যে যেভাবে কাজ বণ্টন করেন, একইভাবে আমাদের নারী কাউন্সিলরদেরও দায়িত্ব বুঝিয়ে দেন।  উনি (মেয়র) আমাদের কখনো নারী বলেন না, সংরক্ষিত কাউন্সিলর বলেন।  সব কাজেই সহযোগিতার চেষ্টা করেন।

এক বছর সময়ের মধ্যে এলাকার উন্নয়নে পর্যাপ্ত কাজ করেছেন জানিয়ে তিনি বলেন, কাজ করার জন্য এক বছর সময় যথেষ্ট নয়। তারপরও আমার ৩টি ওয়ার্ডের রাস্তার উন্নয়নে কাজ করেছি।  জলাবদ্ধতা নিরসনে ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন, নালার স্ল্যাব লাগানোর কাজ করেছি।  আমাদের হাতে আরও ৪ বছর সময় আছে।  এ সময়ের মধ্যে শতভাগ উন্নয়ন করতে পারবো বলে আমি আশাবাদী।

শো-পিস বা অলংকার নই, কাজ করতে পারছি উল্লেখ করে ১৬, ২০ ও ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত কাউন্সিলর আনজুমান আরা বেগম বলেন, কাজের ক্ষেত্রে মেয়র অনেক আন্তরিক।  আমরা নারী কাউন্সিলররা কোনো কাজ করতে চাইলে তিনি আন্তরিকভাবে সহযোগিতা করেন।  আগের তুলনায় আমরা বর্তমান মেয়রের সময়ে কাজ করতে পারছি বেশি।

বেশকিছু উন্নয়ন প্রকল্প চলমান রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এলাকার রাস্তাঘাটের উন্নয়নে কাজ করেছি।  নালা নর্দমা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করেছি।  এ ছাড়া বেশকিছু উন্নয়ন প্রকল্প চলমান আছে।  আরও অনেক উন্নয়নকাজ করার ইচ্ছা আছে। ধারাবাহিকভাবে সেসব কাজ করবো।

তিনি বলেন, কাজের ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের বাধা বা বৈষম্যের শিকার তো হতেই হয়।  এটা আমাদের সমাজে প্রচলিত। নারীদের কাজের ক্ষেত্রে অবমূল্যায়ন করা হয়।  তবে মেয়রের দিক থেকে এ ধরনের সমস্যা নেই।  সিটি কর্পোরেশনে আমরা শো-পিস বা অলংকার নই, আমরা কাজ করতে পারছি।

নীতিমালার কারণে পিছিয়ে আছি উল্লেখ করে ১৪, ১৫ ও ২১ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত কাউন্সিলর মনোয়ারা বেগম মনি বলেন, কাজের বেলায় মেয়র পুরোপুরি পজেটিভ।  কাজ করতে চাইলেই তিনি আমাদের উৎসাহিত করেন।  এ ব্যাপারে তার কাছ থেকে আমরা পুরোপুরি সহযোগিতা পাচ্ছি।  তবে কিছু নীতিমালার কারণে নারী কাউন্সিলররা বেশ পিছিয়ে আছি।

যে নীতিমালা আছে তাতে নারী কাউন্সিলরদের তেমন একটা ক্ষমতা দেওয়া হয়নি।  তাই এ নীতিমালার পরিবর্তন দরকার।  কিন্তু এ ব্যাপারে কোনো উদ্যোগ এখনো নেওয়া হয়নি।  যার কারণে আমরা পিছিয়ে আছি।  নীতিমালা পরিবর্তন করার জন্য আমরা মেয়রকে চাপ দিচ্ছি।  তবে নীতিমালার বিষয়টি বাদ দিলে মেয়রের দিক থেকে পূর্ণ সহযোগিতা আমরা পাচ্ছি।

প্রকল্পে বাজেট বরাদ্দের ক্ষেত্রে এখনো বৈষম্যের শিকার হতে হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমি ৩টি ওয়ার্ডের উন্নয়নে কাজ করছি। এক্ষেত্রে ৩টি মিলে আমাকে বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে মাত্র ৫০ লাখ টাকা।  অন্যদিকে একজন পুরুষ কাউন্সিলরকে শুধু একটি ওয়ার্ডের জন্যই বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে ১ কোটি টাকা।  পুরুষ কাউন্সিলররা এলাকার পরিচ্ছন্নতার জন্য ২ জন সেবক, সড়কবাতি লাগানো বা বিদ্যুতের কাজের জন্য মিস্ত্রি, হেলপার পাচ্ছে।  কিন্তু নারী কাউন্সিলরদের জন্য এরকম কোনো লোকবল নেই।  তাই দেখা যাচ্ছে সামান্য একটি কাজের জন্যও আমাকে মেয়রের কাছে যেতে হচ্ছে।  উনি লোকবল দিলে তবেই আমি কাজ করতে পারছি।

এ ছাড়া আমাদের প্রকল্পের কাজগুলোতে দেখা যায় আমরা পুরুষ কাউন্সিলরদের রাখছি।  তাদের নিয়েই আমরা কাজটি তদারকি করছি।  কিন্তু পুরুষ কাউন্সিলররা তাদের প্রকল্পের কাজগুলোতে আমাদের রাখতে চান না।  এমনকি উদ্বোধনের জন্য যে নামফলক থাকে সেখানেও আমাদের নাম দিতে চান না।  এ ধরনের বিভিন্ন বৈষম্যের শিকার আমাদের হতে হয়।

তবে এদিক থেকে মেয়র খুবই আন্তরিক।  তিনি নারী-পুরুষ কোনো ভেদাভেদ করেন না।  পুরুষ কাউন্সিলরদের তিনি বলেন, তাদের সব প্রকল্পে যেন নারী কাউন্সিলরদের রাখা হয়।  আগে বড় বড় প্রকল্পগুলোতে আমাদের নারী কাউন্সিলরদের রাখা হতো না।  বর্তমান মেয়র এসব প্রকল্পে আমাদের সম্পৃক্ত করছেন।

স্বতঃস্ফূর্ত সহযোগিতা পাচ্ছি উল্লেখ করে ১১, ২৫ ও ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত কাউন্সিলর জেসমিনা খানম বলেন, কাজের বেলায় মেয়রের কোনো দ্বিমত নেই।  এক্ষেত্রে তিনি আমাদের স্বতঃস্ফূর্তভাবে সহযোগিতা করছেন।  এই এক বছরে আমার এলাকায় কালভার্ট নির্মাণ করেছি, রাস্তাঘাট সংস্কার করেছি।  বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য হিসেবে জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজ করছি।

তিনি বলেন, নারী হিসেবে কিছুটা অবমূল্যায়ন তো করা হয়ই।  এটা কাজের ক্ষেত্রে যেমন আছে, প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতির ক্ষেত্রেও আছে।  এই যেমন, নারী সন্তান জন্ম দিচ্ছি, কিন্তু সন্তানের জন্ম নিবন্ধনটা নারীর নামে করা যাচ্ছে না।  এ জন্য আমরা অবশ্য মেয়রের সঙ্গে কথা বলছি।  মায়ের নামে যেন সন্তানের নিবন্ধনটা করা যায় সেজন্য চেষ্টা করছি।

কাজের বেলায়ও এ রকম বৈষম্যের শিকার হতে হয়।  তবে মেয়রের দিক থেকে কোনো সমস্যা নেই।  মেয়র নারী হিসেবে আমাদের কখনো খাটো করে দেখেননি।  আন্তরিক সহযোগিতা তার কাছ থেকে পাচ্ছি।

উৎস : বাংলা নিউজ ।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2020 Dailycoxsbazar
Theme Customized BY Media Text Communications