অবশেষে উখিয়া থানা পুলিশ গতকাল রবিবার রাতে বালুখালী এলাকার আলোচিত আলমগীর ভুলু হত্যা মামলাটি নিয়মিত মামলা হিসেবে গ্রহন করল । এতদিন এ ঘটনায় থানা পুলিশ মামলা না নেয়ায় হত্যাকারীরা বেপরোয়া ভাবে হুমকি ধমকি দিয়ে আসছিল বাদী পক্ষের লোকজনকে। গত ৮ ফেফ্রয়ারী বাদী পক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত -২ উখিয়া থানা পুলিশকে মামলাটি গ্রহনের নির্দেশ দেন। অবশেষে নিহতের স্ত্রী রুজিনা আকতারের করা মামলাটি নিয়মিত মামলা হিসেবে গ্রহন করে উখিয়া থানা পুলিশ। উখিয়া থানার জিআর মামলা নং-০৮/১৪-০২-২০১৬। উখিযা থানার ওসি হাবিবুর রহমান মামলা রেকর্ডের সত্যতা নিশ্চিত করেন। এতে আসামী করা হয়েছে আকবর আহমদ (৪৭) পিতা মৃত ইয়াকুব আলী, আবদুর রহিম প্রকাশ রহিম্যা ডাকাত(২৭) পিতা মৃত ইয়াকুব আলী, জিয়াবুল হক (২৫) পিতা আবদুল নবী, কামাল উদ্দিন প্রকাশ চুরি কামাল (২৮) পিতা মৃত ছুরুত আলম, ফকর উদ্দিন প্রকাশ ফকুইজ্জা ডাকাত (৩৫) পিতা মৃত হোছন আলী, আবু তাহের (৩৩) পিতা মোঃ হোছন, নুরুল হক ডাকাত (৪৪) পিতা মৃত সোলেমান মিস্ত্রি, মিজানুর রহমান (২১) পিতা বদিউর রহমান, আশিক্যা (২০) পিতা সৈয়দ নুর, জয়নাল আবেদিন (২৫) পিতা গোলাম কাদের, জসিম উদ্দিন (২৩) পিতা মৃত ইয়াকুব আলী।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, বালুখালী গ্রামের মৃত ইয়াকুব আলীর ছেলে আকবর আহমদ দ্বারিদ্রতার সুযোগ নিয়ে একই গ্রামের আব্দুল নবীর ছেলে আলমগীর ভুলু (৩৫) কে দীর্ঘদিন ধরে ইয়াবা পাচারে বাহক হিসেবে ব্যবহার করে আসছিল । ঘটনার দিন আকবর আহমদ ও তার সহযোগিরা ইয়াবা পাচারের কথা বলে আলমগীর ভুলু (৩৫) কে বাড়ী থেকে ডেকে নিয়ে যায় এবং কনডমের ভেরত ভরে ২০০০ ইয়াবা ট্যাবলেটে তার বায়ু পথে কৌশলে ঢুকিয়ে নিদ্দিষ্ট ঠিকানায় পৌছে দেওয়ার কথা বলে। ইয়াবা ট্যাবলেট মোড়ানো কনডম পেটের ভেতর ফেটে গেলে আলমগীর ভুলু (৩৫) অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরবর্তীতে ৮ ডিসেম্বর আলমগীর ভুলু (৩৫) কে উন্নত চিকিৎসার কথা বলে আসামীরা অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে হত্যা করে। নিহতের স্ত্রী রোজিনা আকতার অভিযোগ করে বলেন, স্থানীয় ইয়াবা ব্যবসায়ী আকবর আহমদের সাথে ইয়াবা চালানের পাচার নিয়ে তার স্বামীর কিছু লেনদেন ছিল। রোজিনা আরো জানান, ইয়াবার টাকা দেওয়ার কথা বলে তার স্বামীকে গভীর রাতে বাড়ী থেকে ডেকে নিয়ে যাওয়ার পরে আর স্বামীর খোঁজ পায়নি সে। গত ২ জানুয়ারী বালুখালী জুমেরছড়া থেকে উখিয়া থানা পুলিশ পরিত্যাক্ত অবস্থায় ভুলুর লাশটি উদ্ধার করে। ইতিপুর্বেও আকবর আহমদ তার বসতভিটাটি জবর দখল করার জন্য একাধিকবার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। পরে ভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে স্বামীকে ইয়াবা পাচারের মাধ্যমে নেশাগ্রস্ত করে তুলে। পরবর্তিতে ইয়াবা ব্যাবসায় বাহক হিসেবে যক্ত করে। শেষ পর্যন্ত তার স্বামী ভূলুকে অজ্ঞাতস্থানে নিয়ে গিয়ে খুন করেছে দাবী করেন রুজিনা আকতার। তিনি আকবর আহমদ সহ খুনিদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দাবী করেন।