ঢাকা: যুক্তরাষ্ট্রের পর এবার ইউরোপে প্রথম জিকা ভাইরাস সনাক্ত করা হয়েছে। এক গর্ভবতী নারীর শরীরে জিকা ভাইরাসের নমুনা পাওয়া গেছে বলে নিশ্চিত করেছে স্পেন। তবে ওই নারীর পরিচয় এখনও জানা যায়নি।
দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, কয়েকদিন আগে ঐ নারী কলম্বিয়া থেকে স্পেনে ফিরেছেন। চিকিৎসকদের ধারণা করা তিনি কলম্বিয়াতেই এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
ব্রাজিল, কানাডা, চিলি এবং আমেরিকার কমপক্ষে ২০ টি দেশে ছড়িয়ে পেড়েছে জিকা ভাইরাস। এই ভাইরাসের কারণে মস্তিষ্কে ত্রুটি নিয়ে শিশু জন্মানোর হার বৃদ্ধি পাচ্ছে।
গত কয়েক মাসে শুধুমাত্র লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিলেই ছোট মস্তিষ্ক নিয়ে জন্মেছে চার হাজারের বেশি শিশু ।
এই ভাইরাস এত দ্রুত ছড়াচ্ছে যে দক্ষিণ ও উত্তর আমেরিকায় এ বছর ৪০ লাখের মতো মানুষ এতে আক্রান্ত হতে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে। এ কারণে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংখ্যা (হু) বিশ্বজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করেছে।
এএফপির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, জিকা বৃহস্পতিবার জিকার প্রাদুর্ভাব ঘটেছে এমন এলাকা থেকে যারা আসা-যাওয়া করছেন তারা রক্তদান করলে তা যেন কারো শরীরে দেয়া না হয় এজন্য বিভিন্ন দেশকে পরামর্শ দিয়েছে হু।
জিকা ভাইরাস এবং মাইক্রোসেফেলির সম্পর্ক এবং গর্ভাবস্থায় বিভিন্ন ধরনের ঝুঁকি সম্পর্কে এখনও নিশ্চিত নন চিকিৎসকরা।
এর আগে গবেষকরা জানিয়েছিলেন, জিকা ভাইরাসের ব্যবহার উপযোগী একটি প্রতিষেধক তৈরি করে বাজারে ছাড়তে দশ বছরের মত সময় লেগে যেতে পারে। কিন্তু সম্প্রতি ভারতের হায়দ্রাবাদের এক দল বিজ্ঞানী দাবি করেছেন জিকা ভাইরাসের প্রতিষেধক তৈরি করেছেন তারা। তবে এটি চূড়ান্তভাবে ব্যবহারের আগে পরীক্ষামূলকভাবে ব্যবহারে বেশ কিছু সময় লাগবে বলেও জানিয়েছেন তারা।