বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য ইলিয়াস আলী নিখোঁজের ৪৭ মাস পূর্ণ হচ্ছে আজ বুধবার। সপ্তাহ। মাস। বছর। দেখতে দেখতে এভাবে ডায়েরীতে থেকে ৪৭টি মাস চলে গেছে।
দীর্ঘ ৪৭ মাসেও সিলেটের জনপ্রিয় এ নেতার খোঁজ পাওয়া যায়নি! সাধারণ মানুষের মনে এখন একটি প্রশ্ন ঘোরপাক খাচ্ছে। এ অপেক্ষার শেষ কোথায়? এ প্রশ্নের সদোত্তর দিতে পারছে না কেউ। নিখোঁজের ঘটনার উদ্ধার তৎপরতাও থেমে গেছে। দিনে দিনে সবকিছু যেন অন্য রকম হয়ে যাচ্ছে। সিলেটের জনপ্রিয়, প্রভাবশালী এ নেতাকে সরকার গুম করে রেখেছে এমন অভিযোগ শুরু থেকেই করে আসছে বিএনপি। তবে সিলেটের মানুষ আজও ভুলেনি তাদের নেতা ইলিয়াসকে। তার সন্ধান কামনায় চলছে মিলাদ-দোয়ামাহফিল।
এদিকে, আজ বুধবার বাদ আসর ইলিয়াস আলীর সন্ধান কামনায় সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে বলে উপজেলা বিএনপির সভাপতি জালাল উদ্দিন জািনয়েছেন।
গত সংসদ নির্বাচন ও উপজেলা নির্বাচনে ইলিয়াস আলীর জন্মস্থান সিলেটের বিশ্বনাথবাসী ইলিয়াস আলীকে মানুষ কতটা ভালবাসে এর প্রমান পাওয়া গেছে। দীর্ঘ ৪৭ মাসের মাথায় এসেও কান্না থামেনি ইলিয়াস পরিবারসহ নেতাকর্মীদের। ইলিয়াস মাথা সূর্যবান বিবি পুত্রের জন্য কাঁদতে কাঁদতে চোখের পানি এখন শুকিয়ে গেছে। টিক মত চলা ফেরা করতে পারছেনা। কারো কাছে তাঁর এখন কিছু বলা বা চাওয়ার নেই। চোখে মূখে ক্ষোভ আর হতাশার চাপ পরিলক্ষিত হচ্ছে।
এব্যাপারে উপজেলা বিএনপির সভাপতি জালাল উদ্দিন বলেন, অপেক্ষা আর আল্টিমেটাম দিয়ে প্রায় ৪৭মাস গেছে। শিগগিরই প্রাণ প্রিয় নেতাকে ফিরিয়ে না দিলে আন্দোলন ডাক দেয়া হবে।
২০১২ সালের ১৭ এপ্রিল রাতে ঢাকার বনানী এলাকা থেকে কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক,সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি এম. ইলিয়াস আলী ও তাঁর ব্যক্তিগত গাড়ি চালক আনসার নিখোঁজ হন।
অপরদিকে, বিশ্বনাথ বিএনপি আর আগের অবস্থানে নেই। নিখোঁজ বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীর সঙ্গেও যেনো হারিয়ে গেছে বিএনপির অবস্থান। এক সময় বিশ্বনাথের রাজপথে জোরালো অবস্থান ছিল বিএনপির।
বিএনপির জোরালো অবস্থানের কাছে অন্যদলগুলো যেনো অসহায় ছিল। এখন বিশ্বনাথে খেই হারিয়ে ফেলেছে দেশের অন্যতম এই রাজনৈতিক সংগঠনটি। আর এসবের মূলে রয়েছেন নিখোঁজ বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলী। বিশ্বনাথ উপজেলা বিএনপি দিন দিন দলে বেড়েছে মতপার্থক্য, রেষারেষি।