সদর উপজেলার বৃহত্তর ঈদগাঁও তথা ছয় ইউনিয়নের নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপির একক প্রার্থীরা প্রত্যন্ত গ্রামগঞ্জে প্রচারণায় ব্যস্তমুখর হয়ে পড়েছে। অন্যদিকে চূড়ান্ত হয়নি আ’লীগের দলীয় প্রার্থীরা। এ নিয়ে নেতাকর্মীদের মাঝে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা দিন দিন বেড়েই চলছে। তন্মধ্যে ইউনিয়নগুলো হচ্ছে – সদর উপজেলার ঈদগাঁও, জালালাবাদ, ইসলামাবাদ, ইসলামপুর, চৌফলদন্ডী ও পোকখালী ইউনিয়ন। ২৮ এপ্রিল বৃহষ্পতিবার ৬ষ্ঠ ধাপে তপশীল ঘোষণা করেছেন নির্বাচন কমিশন। তপশীল ঘোষণার পরপরই বৃহত্তর ঈদগাঁও তথা ছয় ইউনিয়নের পাড়া মহল্লায় ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনা বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে ঘোষিত তপশীল অনুযায়ী – ৯ মে মনোনয়ন পত্র দাখিল, ১১ ও ১২ মে মনোনয়পত্র যাচাই-বাছাই, ১৯ মে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় বলে জানা যায়। এ নির্বাচনে বৃহত্তর ঈদগাঁও তথা ছয় ইউনিয়নে বিএনপির একক প্রার্থী ঘোষিত হলেও এখনো ঘোষিত হয়নি আওয়ামীলীগের প্রার্থী। তবে আওয়ামীলীগের চেয়ারম্যান প্রার্থীরা ইউনিয়ন, উপজেলা ও জেলা পেরিয়ে এখন ঢাকায় কেন্দ্রে অবস্থান করছে। ইউপি নির্বাচনে দলীয় প্রতীক নৌকা পাওয়ার আশায় বৃহত্তর এলাকার নবীণ-প্রবীণ প্রার্থীদের মধ্যে চলছে মনোনয়ন যুদ্ধ। শেষ মুহুর্তে কেন্দ্র থেকে কারাই পাচ্ছে নৌকার টিকেট এমন প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে সচেতন ভোটার সমাজসহ দলীয় নেতাকর্মীদের মাঝে। এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বিএনপির প্রার্থীরা স্ব স্ব ইউনিয়নে প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। আবার আ’লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা উপজেলা-জেলা পেরিয়ে ঢাকায় অবস্থান করছে বলে নানাভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে। যেন শেষ মুহুর্তে নৌকার ফসল ঘরে আনতে পারে। আবার এ ইউপি নির্বাচনকে ঘিরে অনেকে প্রকাশ্যে পোস্টার, ডিজিটাল ব্যানার ও লিপলেট ছড়িয়ে দিয়েছে গ্রামগঞ্জে। তবে দলীয় নেতাকর্মীসহ সাধারণ ভোটারদের মাঝে কৌতুহলের শেষ নেই। অবশেষে কারাই হচ্ছেন নৌকার মাঝি এ নিয়ে গ্রামাঞ্চল থেকে বাজারের আবাল-বৃদ্ধ-বণিতা থেকে শুরু করে সর্বশ্রেণীর লোকজন উৎসুখ নয়নে তাকিয়ে আছে ঢাকায় কেন্দ্রের দিকে।