সদরের ঈদগাঁওতে নির্বাচনকে সামনে রেখে কতিপয় প্রার্থী জনপ্রিয়তা কেনা শুরু করেছে। এ সুযোগে এলাকার বেকার ও সুবিধাভোগি একটি অংশ হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অংকের টাকা। এতে করে এলাকায় এসব প্রার্থীদের নিয়ে ইতিমধ্যে হাস্যরস সৃষ্টি হয়েছে। সরেজমিনে জানা যায়, যতই ঘনিয়ে আসছে আসন্ন ইউপি নির্বাচন। ততই ইউনিয়ন জুড়ে বাড়ছে সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থীর সংখ্যা। কেউ চাচ্ছে দলীয় মনোনয়ন, কেউ স্বতন্ত্র। দীর্ঘ দিন যারা দলীয় রাজনীতি, সমাজ সেবা এবং জনপ্রতিনিধি হিসেবে সম্পৃক্ত, তাদের চাইতে যারা বছরের পর বছর দেশ এবং এলাকার বাইরে প্রবাসী ও ব্যবসায়ী হিসেবে অবস্থান করছে, তারাই আচমকা দেশ ও এলাকায় ফিরে নিজেকে বড় মাপের সমাজ সেবক এবং গরীবের বন্ধু হিসেবে নানা চটকবাজ উক্তি সম্বলিত পোষ্টার, লিপলেট ও ব্যানার ছাপিয়ে রাতের আধাঁরে দৈনিক বেতনে শ্রমিক রেখে এলাকার গাছ, বাঁশ, ঘর, দোকান ও বাজারে এগুলো লাগিয়ে রাতারাতি মহাসমাজ সেবক হয়ে উঠছে। এমনকি এসব মৌসুমি সমাজ সেবকদের কেউ আবার টাকার গরমে দলীয় প্রার্থী হওয়ারও খায়েশ দেখছে। তারা ইতিমধ্যে স্ব স্ব ইউনিয়নের সচেতন জনগণ ও রাজনৈতিক নেতা কর্মীদের হাস্যকর পাত্রে পরিণত হয়েছে। এসব ব্যবসায়ী ও প্রবাসী প্রার্থীদের কোন প্রকার অবদান এলাকার জনগণের প্রতি না থাকলেও যেদিন এলাকায় বিদেশ ও ব্যবসা কেন্দ্র থেকে ফিরছে, ঐদিন মাথা পিছু দৈনিক বেতনে সুবিধা ভোগি চক্রের মাধ্যমে ইউনিয়নের সীমান্ত এলাকায় হাজারো মানুষ জড়ো করে নিজ টাকায় ক্রয়কৃত ফুলের মালা পড়ে গাড়িবহর যোগে বটগাছ আকৃতির সমাজসেবক হিসেবে মাইকে ডাক ঢোল বাজিয়ে নিজেকে সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে প্রচার করে। এরুপ একটি শোডাউন বিগত কয়েক দিন পূর্বে চৌফলদন্ডী ইউনিয়নের নুরুল ইসলাম নামক এক সৌদী প্রবাসী করেছে। যা ইউনিয়ন জুড়ে তীব্র সমালোচনা সৃষ্টির পাশাপাশি উনার যোগ্যতা নিয়েও ইতিমধ্যে প্রশ্নের সৃষ্টি করছে। ইউনিয়নের সচেতন জনসাধারণ এসব স্বঘোষিত সমাজ সেবকদের প্রতারণা থেকে যাতে এলাকাবাসী রক্ষা পায়, তার জন্য সকলকে সজাগ থাকার অনুরোধ জানান। জালালাবাদেও নুরুল আলম নামের অপর এক ব্যক্তি একই প্রচার প্রচারণা চালিয়ে ইতিমধ্যে ক্ষমতাসীন দল থেকে মনোনয়ন পাওয়ার দাবি তুলছে। অথচ যেসব সাবেক ও বর্তমান চেয়ারম্যানরা প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে রয়েছেন তাদের মাঝে এত সমাজ সেবার প্রতারণা দেখা যাচ্ছেনা। এতে এলাকার সচেতন জনসাধারণের বুঝতে কষ্ট হচ্ছে না, কারা প্রকৃত সমাজ সেবক ও জনপ্রতিনিধি হওয়ার যোগ্যতা রাখে। তারা এখন থেকেই বৃহত্তর ঈদগাঁওর ৭ ইউনিয়ন যথাক্রমে ঈদগাঁও সদর, ইসলামপুর, ইসলামাবাদ, জালালাবাদ, পোকখালী, চৌফলদন্ডী ও ভারুয়াখালী ইউনিয়ন বাসীকে যোগ্য প্রার্থী বেঁছে নিয়ে আগামী নির্বাচনে তাদের পক্ষে রায় দিয়ে এসব মৌসুমি প্রার্থীকে কয়কট করার আহবান জানান।