কক্সবাজার সদর উপজেলার ঈদগাঁওতে প্রাণী সম্পদ কল্যাণ কেন্দ্রটি দীর্ঘ বছর ধরে অযতœ-অবহেলায় রোগাক্রান্ত হয়ে পড়েছে। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি না থাকায় এ সরকারী সম্পদটি বেহাল দশায় পড়েছে।
জানা যায়, প্রাণী সম্পদ কল্যাণ কেন্দ্র কক্সবাজার সদরের সাব সেন্টার হিসাবে বৃহত্তর ঈদগাঁও তথা ৬ ইউনিয়নের প্রাণীদের চিকিৎসা প্রদানে এটি স্থাপিত হয়। স্থাপনের ত্রিশ বছর পরও এই প্রাণী সম্পদ কল্যাণ কেন্দ্রটি ঘুরে ফিরে একই অবস্থায়। এটি মূলত চৌফলদন্ডী, পোকখালী, ইসলামাবাদ, ইসলামপুর, জালালাবাদ ও ঈদগাঁওয়ের প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের প্রাণীদের চিকিৎসা কেন্দ্র হিসাবে নিয়োজিত। এ কেন্দ্রে বর্তমানে দুজন কর্মকর্তা দায়িত্ব পালনে নিয়োজিত রয়েছে। তন্মধ্যে একজন ভিএফএ, অন্যজন ভিএফএ অতিরিক্ত দায়িত্ব কৃত্রিম প্রজনন হিসেবে। এমনকি এ প্রাণী সম্পদ কল্যাণ কেন্দ্রটি প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে হাটু পরিমাণ পানিতে নিমজ্জিত থাকে। বর্তমানে এ সরকারী সম্পদটি ২/৩ ফুট মাটির নিচে দেবে গেছে। অফিসের ভেতরে দরজা জানালা ভাঙ্গা, ফলিস্টার খসে পড়ছে, ছাদ দিয়ে পানি চুপসে পড়ে, দুর্গন্ধে বিষিয়ে উঠছে, নেই কোন বসার পরিবেশ। এক কথায় এটি জরাজীর্ণতা, অনাদর, অযতœ-অবহেলায় রোগাক্রান্ত বললেই চলে। অথচ এসব দেখার কেউ না থাকায় এটি বর্তমানে সংস্কারের আলোর মুখ থেকে পিছিয়ে রয়েছে। অফিসের বাইরে যে অবস্থা ঠিক তেমনি ভেতরেও একই অবস্থায়। এ প্রাণী সম্পদের জায়গাটির উপর আড়াআড়ি করে পরিত্যাক্ত গাড়ী, লাকড়ির স্তুপ, মুরগী ব্যবসাসহ নানা ধরণের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।
দীর্ঘ ২ যুগ ধরে স্থানীয় প্রাণী সম্পদ কল্যাণ কেন্দ্রে থাকা ঈদগাঁও ইউনিয়নের দরগাহ পাড়ার সনজিত মল্লিক জানান, তিনি এ প্রাণী সম্পদ কল্যাণ কেন্দ্রে দীঘর্ বছর ধরে নিয়োজিত আছে। তার মতে প্রতিবার বর্ষা মৌসুমে নানা দুর্ভোগ আর দূর্গতিতে পড়তে হয়। হাটু পরিমাণ পানি পেরিয়ে কাজ কর্ম করতে হয়। এমনকি অনেক সময় অতিরিক্ত পানি হলে কল্যাণ কেন্দ্রের অফিসের বাইরে কাজ করতে হয়। এভাবেই চলছে এ প্রাণী সম্পদ কল্যাণ কেন্দ্রের দিনকাল। এটি সংস্কারবিহীন পড়ে আছে দীর্ঘ বছর ধরে। সচেতন মহল এই জরাজীর্ণ প্রাণী সম্পদ কল্যাণ কেন্দ্রটিও পুননির্মাণ করার আহবান জানান।