ঈদগাহ ডায়েবেটিস কেয়ার সেন্টার এন্ড হসপিটালে চিকিৎসাধীন এক প্রসূতী মারা গেছেন। ১৪ জানুয়ারী দুপুরে অপারেশন চলাকালে তার মৃত্যু হয়। তবে নবজাতক সুস্থ রয়েছে। আকস্মিক মৃত্যুর ঘটনায় হসপিটাল ও আশপাশ জুড়ে আত্মীয় স্বজনরা কান্নাকাটি শুরু করেন। প্রাপ্ত তথ্যে প্রকাশ, খুটাখালী গর্জনতলীর রং মিস্ত্রী জহির আহমদ গববর্তী স্ত্রী মর্জিনা আক্তার মিন্টুর তীব্র প্রসব বেদনা শুরু হলে তাকে উপরোক্ত হসপিটালে ভর্তি করেন। সেখানে আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. প্রান্তিকা চক্রবর্তীর তত্ত্বাবধানে তার চিকিৎসা চলে। তার ডেলিভারী স্বাভাবিক না হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক অপারেশনের পরামর্শ দেন। তার পরামর্শ মতে গতকাল দুপুরে হসপিটালের অপারেটিং রুম (ওটি) মহিলাটির অপারেশন হচ্ছিল। আর এ অপারেশন চলাকালে মহিলার মৃত্যুর খবর আসে স্বজনদের কাছে। এতে সবাই কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। তাদের শোর চিৎকারে হসপিটাল ও সংলগ্ন এলাকা ভারী হয়ে উঠে। মৃত্যুর পর হসপিটাল কর্তৃপক্ষ নিহতের মরদেহ স্বজনদের কাকেও দেখতে দেয়নি। নিহত মর্জিনা দু’মেয়ে সন্তানের জননী। তিনি মৃত্যু বরণ করলেও তার নবজাতক ছেলে সুস্থ রয়েছে বলে নিশ্চিত করেন হসপিটালে উপস্থিত নিহতের ভাতিজা তোয়ায়েল আহমদ। এদিকে নিহতের বড় ভাই আফজল আহমদ এবং জ্যাঁ জন্নাতুল ফেরদৌস পাখি জানান, মর্জিনা অপারেশনকালে মৃত্যুর কুলে ঢলে পড়েন। সকাল থেকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে কিছু খেতেও দেয়নি। অন্যদিকে তড়িগড়ি করে হসপিটাল কর্তৃপক্ষ নিহতের মরদেহ স্বজনদের খুটাখালী নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করে। এ ব্যাপারে হসপিটালের ফাইনান্স ডিরেক্টর মাও. আবু বক্করের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, রোগীর অবস্থা বেগতিক হওয়ায় তাকে রেফার করা হয়েছিল। তবে তাদের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর মনজুর আলম ঝুঁকি নিয়ে তার অপারেশনের ব্যবস্থা করেন। তিনি অপারেশনকালে প্রসূতির মৃত্যুর সত্যতা ও নিশ্চিত করেন।