সদর উপজেলার ঈদগাঁও-ইসলামাবাদের বাঁশঘাটা ব্রীজ ভাঙ্গনের দীর্ঘদিনেও নির্মাণ না হওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েছেন এলাকাবাসী। ভাঙ্গনের বহু মাস পরও কর্তৃপক্ষের এখনো টনক নড়েনি। নানা কাজ কর্মে দৈনিক ১৫ থেকে ২০ সহস্রাধিক লোকজন চলাফেরায় ভোগান্তির শিকার হচ্ছে।
সূত্রে জানা যায়, বিগত ৪ দফা বন্যায় নির্মাণাধীন ঈদগাঁও-ইসলামাবাদ যাতায়াতের একমাত্র বাঁশঘাটা ফুট ব্রীজটি মাঝখানে ধ্বসে পড়ে। সে থেকে দীর্ঘদিন পর্যন্ত বিশাল এলাকার লোকজন নানা কষ্টের বিনিময়ে ঈদগাঁও বাসস্টেশন হয়ে যাতায়াত করে চলছে। মাঝপথে বাঁশঘাটা ফুট ব্রীজের নিচে নৌকা দিয়েও বেশ কিছুদিন অসহায় লোকজন নদী পারাপার হয়ে যোগাযোগ করে চলেছিল। এ নিয়ে দুর্ভোগ আর দূর্গতিতে ছিল বৃহত্তর এলাকার লোকজন। এ ফুট ব্রীজ দিয়ে ইসলামপুর, পোকখালী, গোমাতলী, ইসলামাবাদের পাহাশিয়াখালী, বোয়ালখালী, ইউছুপেরখীল, টেকপাড়া, আউলিয়াবাদ, খোদাইবাড়ীর একাংশ, হরিপুরসহ বাঁশঘাটার আশপাশ এলাকার বিপুল সংখ্যক লোকজন ও পোকখালীর গোমাতলীসহ বিভিন্ন এলাকার মানুষজন প্রতিনিয়ত ঈদগাঁও বাজারে যায়। অথচ এ বাজারে আসতে অসহায় লোকজনকে পোহাতে হচ্ছে নানা দূর্ভোগ। এছাড়াও ঈদগাহ জাহানারা ইসলাম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও লুৎফুল কবির আদর্শ বালিকা মাদ্রাসার অসংখ্য শিক্ষার্থী বর্তমানে ব্রীজের উপর কাঠের সাঁকো দিয়ে চরম ঝুঁকি নিয়ে তাদের প্রিয় শিক্ষাঙ্গনে আসছে । এমনকি বিশাল এলাকার দৈনিক হাজার হাজার লোকজন বাজারে যাতায়াত করে থাকে। তার পাশাপাশি ফুট ব্রীজটি ছোট আকারে হওয়ায় যানবাহন চলাচলে অক্ষম ছিল। সে থেকে এ পর্যন্ত নানা লোকজন কিংবা অসুস্থ রোগীকে নিয়েও এ ব্রীজের উপর দিয়ে ছোট যানবাহন চলাচল করতে না পারায় মহা কষ্টে দিন পার করছে। এমনকি স্টেশন হয়ে আসতে হয় অসুস্থ ব্যক্তিদের নিয়ে। স্থানীয় লোকজন পারাপারে গাছ দিয়ে কোন রকম যাতায়াতের সুব্যবস্থা করে। ইসলামাবাদ ইউছুপেরখীল ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি নোমান জানান, এ ব্রীজটি বড় আকারে করে নির্মাণ করলে বিশাল এলাকার লোকজনের যাতায়াতের পাশাপাশি যানবাহন চলাচলে সুযোগ সৃষ্টি হবে। তবে লোকজনের ভোগান্তি কমবে। শিক্ষার্থীরা দ্রুততম সময়ে এ ব্রীজটি নির্মাণ করার দাবী জানিয়েছেন ।