উখিয়ার দূর্নীতিবাজ খাদ্য গুদাম কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দূর্নীতি, গাফেলতি, কর্তব্য পালনে অবহেলা ও কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকাসহ নানা অভিযোগের পাহাড়। এ দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তা সুনীল দত্ত উখিয়ায় ভারপ্রাপ্ত খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা হিসেবে গত ১১ মে ২০১৪ইং তারিখে যোগদানের পর থেকে উখিয়া খাদ্য গুদাম অফিসকে অনিয়ম দূর্নীতির আঁখড়ায় পরিণত করেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তার নানা অপতৎপরতা ও অনৈতিক কর্মকান্ডসহ দায়িত্ব কর্তব্য পালনে অবহেলার পাশাপাশি মাসের পর মাস অনুপস্থিত থাকছে। সুনীল দত্ত চট্টগ্রাম শহরে স্ব-পরিবারে বাসা বাড়ি নিয়ে থাকার কারণে উখিয়ায় দায়িত্ব পালন করা থেকে দূরে রয়েছে। উখিয়ার বহুল আলোচিত চাল কেলেংকারীর হোতা সুনীল দত্তের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালে সরকারী চাল ক্রয়ে জালিয়াতি, নি¤œমানের ভেজাল চাল সংগ্রহের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে কক্সবাজারসহ সারাদেশ ব্যাপী তোলপাড় সৃষ্টি হলেও তিনি এখনো উখিয়ায় কর্মস্থলে ভারপ্রাপ্ত খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা হিসেবে বহাল তবিয়তে রয়েছে। অথচ সংশ্লিষ্ট উধ্বর্তন প্রশাসন চাল সংগ্রহে অনিয়ম, দূর্নীতি ও কেলেংকারীর অভিযোগে জেলা খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা (ডিসিপোর্ট) তানভীর হোসেনকে সম্প্রতি ষ্টেনরিলিজ করলেও উখিয়ার সে চাল চোর বির্তকিত ভারপ্রাপ্ত খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা (ওসিএলএসডি) সুনীল দত্তকে শাস্তিমূলক বদলী করা হয়নি। দূর্নীতি পরায়ন এ কর্মকর্তা নিজেকে চট্টগ্রাম বিভাগীয় খাদ্য পরিদর্শক সমিতির সিনিয়র সহ-সভাপতি দাবি করে ক্ষমতা দেখিয়ে স্বপদে রয়ে যাচ্ছে। তার বিরুদ্ধে উধ্বর্তন প্রশাসন কিছুই করতে পারবে না বলে কথায় কথায় সবাইকে ধমক দিয়ে থাকে। উখিয়ার সংশ্লিষ্ট ভূক্তভোগী লোকজন ও সংশ্লিষ্টরা সুনীল দত্তের খুঁটির জোর কোথায় বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য সরকারের খাদ্য মন্ত্রাণালয়ের মন্ত্রী ও উধ্বর্তনের কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন। গতকাল রাতে এ রির্পোট লেখাকালীন সময়ে অভিযুক্ত সুনীল দত্তের বক্তব্য জানার জন্য তার ব্যবহৃত মুঠোফোন নম্বরে ০১৭১১-৩০২৭৭৬ বার বার যোগাযোগের চেষ্টা করেও মোবাইল ফোন রিসিভ না করায় কথা সম্ভব হয়নি।