উখিয়ার পশ্চিম ডিগলিয়া খালের ওপর নির্মিত রাবার ড্যামের পানিতে এলাকার বোরো চাষের মাধ্যমে পরিবারের সচ্ছলতা ফিরিয়ে আনতে চাষিরা আশায় বুক বাঁধলেও সেই আশা গুড়েবালিতে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
কৃষকদের অভিযোগ, পুরোপুরি রাবার না ফুলানোর কারণে পানির উচ্চতা বাড়ছে না বিধায় রাবার ড্যাম ডিঙিয়ে পানি অপচয় হচ্ছে। এতে করে বোরো চাষ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কায় কৃষকেরা হতাশ হয়ে পড়েছেন।
সরেজমিন পশ্চিম ডিগলিয়া রাবার ড্যাম এলাকা ঘুরে কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদি, ডা. আবদুর রহিম, রাজাপালং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী, অধ্যাপক শাহে আলমসহ ১৭ জন দাতাসদস্য প্রদত্ত ৬ লাখ ৬৪ হাজার টাকা সমবায় অধিদপ্তরে জমা প্রদানের ধারাবাহিকতায় ৩০ জানুয়ারি ২০১২ সালে পশ্চিম ডিগলিয়া পানি ব্যবস’াপনা সমিতি সরকারি নিবন্ধনপ্রাপ্ত হয়।
স’ানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের আওতায় গত ২০ মে ২০১৫ সালে সাড়ে ৫ কোটি টাকা ব্যয় বরাদ্দে পশ্চিম ডিগলিয়া রাবার উন্নয়নের কার্যক্রম সম্পন্ন হয়।
চলতি মৌসুমে বোরো চাষাবাদের জন্য উক্ত রাবার ড্যামটি ফুলিয়ে কার্যকর করা হলেও সর্বোচ্চ ২ ফুটের নিচে রাবার অবস’ান করায় ধরে রাখা পানি উপচে পড়ে অপচয় হচ্ছে।
সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক শাহে আলম জানান, রাবার ড্যামটি পুরোপুরি না ফুলানোর কারণে কৃষকেরা কার্যত এখনো সুফল পাচ্ছে না। এতে বোরো চাষাবাদ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সমপ্রতি এডিবি মিশনের টিম লিডার জহির উদ্দিন আহমদের নেতৃত্বে একদল প্রতিনিধি পশ্চিম ডিগলিয়া রাবার ড্যাম পরিদর্শনে আসলে পানি ব্যবস’াপনা সমিতির সদস্যরা রাবারটি পুরোপুরি ফুলিয়ে বোরো চাষাবাদের সুযোগ করে দেওয়ার দাবি জানালেও এ পর্যন্ত কার্যকর না হওয়ায় কৃষকেরা হতাশ হয়ে পড়েছেন।
এ নিয়ে আলাপ করার জন্য কক্সবাজার এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী এমএ ছিদ্দিকের মুঠোফোনে যোগাযোগ করার জন্য বেশ কয়েকবার চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।