ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আওয়ামীলীগের দলীয় টিকেটে নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়ার জন্য উখিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের একাধিক প্রার্থী মাঠে রয়েছে। তারা নেতাকর্মী, ভোটার সমর্থকদের সাথে সখ্যতা গড়ে তুলে উপজেলা ভিত্তিক আওয়ামীলীগের হাই কমান্ডদের মন জয় করার জন্য বিভিন্নভাবে তদবির চালিয়ে যাচ্ছে। অপর দিকে স্থানীয় বিএনপি এককভাবে নির্বাচন করার জন্য তাদের প্রার্থীতা চূড়ান্ত করেছে বলে জানা গেছে।
ক্ষমতাসীন দল আওয়ামীলীগের স্থানীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে জনপ্রতিনিধিত্বশীল ও পরিবার কেন্দ্রিক কতিপয় নেতা ইতিপূর্বেকার ইউ,পি, নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে থাকলেও এবারের চিত্র কিন্তু ভিন্ন রকম। রাজনৈতিক ভিত্তিক বা জনপ্রতিনিধিত্বশীল প্রজ্ঞা, জনসমর্থন থাক আর না থাক দলীয় টিকেটের অনুবলে ইউ,পি, নির্বাচনে নির্বাচনীয় বৈতরণী পার হওয়ার জন্য মাঠ পর্যায়ে দৌড়ঝাপ শুরু করেছে ৫ ইউনিয়নের প্রায় ১৫ জন আওয়ামীলীগের প্রার্থী। তৎমধ্যে পালংখালী ইউনিয়নে কক্সবাজার জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহাদাত হোসেন জুয়েল, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আলী আহমদ ও পালংখালী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের আহ্বায়ক এমএ মনজুর, রাজাপালং ইউনিয়নে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী, জালিয়াপালং ইউনিয়নে ওই ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি এস.এম. ছৈয়দ আলম, সাধারণ সম্পাদক এড: রুহুল আমিন চৌধুরী রাসেল, উখিয়া উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান, রতœাপালং ইউনিয়নে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক আদিল উদ্দিন চৌধুরী ও সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুল হুদা, হলদিয়াপালং ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন মিন্টু সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আমিনুল হক আমিন, আওয়ামীলীগ নেতা গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী ও মাহবুবুল আলম। উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি অধ্যক্ষ হামিদুল হক চৌধুরী জানান, তৃণমুল পর্যায়ের নেতাকর্মীর পছন্দ সহ স্থানীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে যাদের জনসমর্থন রয়েছে দল তাকেই মনোনয়ন দেবে। এবারের নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী হলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিকভাবে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, প্রার্থীদের জয় করতে যে কোন মূল্যে একক প্রার্থী দেওয়া হবে।
এদিকে উপজেলা বিএনপির চেয়ারম্যান প্রার্থীর মনোনয়ন দৌড়ে এগিয়ে রয়েছে পালংখালী ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান গফুর উদ্দিন চৌধুরী। সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে চেয়ারম্যান থেকে সাময়িক বরখাস্ত করার ঘটনা নিয়ে এলাকায় তার প্রতি জনসমর্থন আরো বেড়েছে বলে মনে করছেন ভোটারেরা। এছাড়া রাজাপালং ইউনিয়নে শাহ কামাল চৌধুরী, রতœাপালং ইউনিয়নে খাইরুল আলম চৌধুরী ও আব্বাস উদ্দিন কন্ট্রাক্টর, হলদিয়াপালং ইউনিয়নে সাবেক চেয়ারম্যান ফজলুল করিম সিকদার ও এনামুল হক, জালিয়াপালং ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল আমিন চৌধুরী, বর্তমান চেয়ারম্যান এসএম আনোয়ার, জহুর আহমদ চৌধুরী। উপজেলা বিএনপির সভাপতি কাজী রফিক উদ্দিন বলেন, দলীয় মনোনয়নে এখনো প্রার্থীতা চুড়ান্ত হয়নি। তবে তিনি একক প্রার্থী দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।