টেকনাফ সড়কের উখিয়ার রাজাপালং জাদিমুরা এলাকায় মাটি ভরাট করে কালভার্ট সংস্কার না করার অভিযোগ উঠেছে। গত ৩ মাস আগে ওই কালভার্টটি ধ্বসে পড়ে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেলে সড়ক ও জনপদ বিভাগ তড়িগড়ি করে মাটি ভরাট পূর্বক যানবাহন চলাচলের উপযোগী করে তুলে। স্থানীয়দের অভিযোগ, বর্ষা মৌসুমের আগে সেতুটির পূণঃনির্মাণ কাজ সম্পন্ন করা না হলে বন্যা ও জলাবদ্ধতায় আশেপাশের কয়েকটি গ্রাম তলিয়ে যেতে পারে। এতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশংকা করা হচ্ছে।
জানা গেছে, ২০১৪-২০১৫ অর্থ বছরে সড়ক ও জনপদ বিভাগ কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের বিভিন্ন স্থানে প্রায় ১২টি জরাজীর্ণ কালভার্ট ও সেতুর পূণ:নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করে। এতে সড়কের অভূতপূর্ব উন্নয়ন হলেও আরো বেশ কয়েকটি কালভার্ট সেতুর মরণদশা জেনেও সংশিষ্ট বিভাগ তা দেখেও না দেখার ভান করে। গত সেপ্টেম্বর মাসে রাজাপালং জাদিমুরা জরাজীর্ণ সেতুটি ধ্বসে পড়লে কক্সবাজার-টেকনাফ সড়ক যোগাযোগ অচল হয়ে পড়ে। এ সময় সড়ক ও জনপদ বিভাগ তাদের দায় এড়াতে তাৎক্ষণিকভাবে উক্ত সেতুর উপর মাটির ভরাট করে যানবাহন চলাচলের ব্যবস্থা করে। এ নিয়ে এলাকাবাসীর দ্বিমত থাকলেও উক্ত সেতু নির্মাণ কাজ শুরু না হওয়ায় জনমনে উদ্বেগ উৎকণ্ঠার সৃষ্টি হয়। স্থানীয় সাবেক ইউ,পি, সদস্য হাজী মোজাহের আহমদ জানান, মাটি ভরাট করে সেতু সংস্কার করায় পানি চলাচল বাধাগ্রস্ত হয়ে রাজাপালং এলাকার মানুষ বন্যায় আক্রান্ত হয়ে আর্থিক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই অনতিবিলম্বে উক্ত সেতুটির নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করার জন্য তিনি সংশিষ্ট কর্মকর্তার হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এ অভিযোগের একমত পোষণ করে রাজাপালং ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান সালা উদ্দিন জানান, ধ্বসে পড়া সেতুটির পূণ:নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করার জন্য সড়ক ও জনপদ বিভাগের সাথে বেশ কয়েকবার যোগাযোগ করেও সাড়া মিলেনি। এ প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে কক্সবাজার সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রানা প্রিয় বড়–য়া জানান, উক্ত সেতুটি পূণ:নির্মাণ কাজ শুরু করার জন্য প্রক্রিয়া চলছে। তিনি বলেন, বর্ষা মৌসুমের আগেই সেতুটির নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করা হবে।