উখিয়ায় ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ার প্রকোপ দু’শিশুর মৃত্যু
ডেইলি কক্সবাজার ডেস্ক ::
আপডেট সময়
মঙ্গলবার, ১৯ জানুয়ারী, ২০১৬
৩২৪
বার পড়া হয়েছে
উখিয়ায় শিশুদের ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া রোগের প্রার্দুভাব দেখা দিয়েছে। হাসপাতালে বেডে ও ফ্লোরে কোথাও রাখার ঠাই নাই। সবখানে রোগী আর রোগী। চিকিৎসাধীন অবস্থায় দু’শিশুর মৃত্যু হয়েছে। সরকারী ভাবে বরাদ্ধকৃত ঔষুধ ও স্যালাইন দিচ্ছে না ডাক্তাররা এমন অভিযোগ অভিভাবকদের।
জানা যায়, শীতকালীন মৌসুমে শিশুদের ডায়রিয়া ও নিয়োমনিয়া রোগ বেড়ে যায়। শ্বাসকষ্ট জনিত রোগের নাম হচ্ছে নিউমোনিয়া। এছাড়াও ঠান্ডাজনিত কারনে নিউমোনিয়অ রোগীর সংখ্যাও বেড়ে গেছে। গতকাল সোমবার উখিয়া হাসপাতালে সরেজমিন পরিদর্শনে গেলে অসংখ্য ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া রোগে আক্রান্ত শিশুদেরকে দেখা গেছে। ভর্তিকৃত শিশু রোগীরা বেড ও ফ্লোরে চিকিৎসা নিচ্ছে। প্রতিদিন শতাধিক এ রোগে আক্রান্ত শিশুরা হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসছে। তবে বে-সরকারী ভাবে বিভিন্ন ডাক্তার চেম্বার ও ক্লিনিকে চিকিৎসা নেওয়া রোগের সংখ্যা দ্বিগুণ হবে।
হাসপাতালে ভর্তিকৃত ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া রোগে আক্রান্ত শিশুর অভিভাবকগণ অভিযোগ করে বলেন, হাসপাতাল থেকে কোন প্রকার ঔষুধ ও স্যালাইন দেওয়া হচ্ছে না। বাহিরের ফার্মেসির থেকে ঔষুধ ক্রয় করে চিকিৎসা চালিয়ে যেতে হচ্ছে। এতে গরীব ও দরিদ্র রোগীরা টাকার অভাবে হাসপাতালে চিকিৎসা করতে পারছে না। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাজাপালং কাশিয়ার বিল গ্রামের বাহাদুর বড়–য়ার আড়াই মাসের পুত্র সন্তান সয়ন বড়–য়া সহ দু’জনের মৃত্যু হয়েছে।
দায়িত্বশীল সূত্রে জানা যায়, স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয় শিশুর ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া রোগের জন্য পর্যাপ্ত ঔষুধ ও স্যালাইন হাসপাতালে সরবরাহ ও বরাদ্ধ দিয়ে থাকে। সচেতন মহলের অভিযোগ হাসপাতালে সরকারী বরাদ্ধ ঔষুধ ও স্যালাইন থাকার পরেও সংকটের অজুহাত দেখিয়ে ভর্তিকৃত রোগীদেরকে কোন প্রকার ঔষুধ দিচ্ছে না।
এদিকে উখিয়া হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার রবিউল ইসলাম রবি জানান, আবহাওয়া জনিত কারনে বর্তমানে হাসপাতালে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া রোগে আক্রান্ত শিশু রোগীর সংখ্যা খুবই বেড়ে যাচ্ছে। প্রতিদিন অর্ধশতাধিক রোগী ভর্তি হচ্ছে। এছাড়াও বহি:বিভাগে এ রোগের সংখ্যা আরও বেশি। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ঔষুধ সংকট নেই তবে রোগীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় স্যালাইন ও ঔষুধ রোগীদেরকে দিতে গিয়ে হিমসিম খেতে হচ্ছে। তার পরও কর্তব্যরত ডাক্তার নার্স রোগীদের সাধ্যমত চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছে।
ভারপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার রবির কথার সাথে দ্বিমত পোষন করছেন ভর্তিকৃত শিশু রোগীর অভিভাবকগণ। তারা চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলেছে, সরকারী ভাবে বরাদ্ধকৃদ ঔষুধ ও স্যালাইন কিছুই দিচ্ছে না। ঔষুধ চাওয়া হলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বরাদ্ধ নাই বলে রোগীদেরকে সাব জবাব দিচ্ছে। সচেতন মহল ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া রোগের চিকিৎসা ও প্রতিরোধ করার লক্ষ্যে জরুরী ভিত্তিতে ঔষুধ সরবরাহ করার জন্য সিভিল সার্জনের নিকট জোর দাবী জানিয়েছেন।