উখিয়ায় নিজস্ব গাড়ী দিয়ে চলছে সিন্ডিকেট ভিক্তিক ইয়াবা বানিজ্য
ডেইলি কক্সবাজার ডেস্ক ::
আপডেট সময়
শনিবার, ১৬ এপ্রিল, ২০১৬
২৬৬
বার পড়া হয়েছে
উখিয়া উপজেলার বিভিন্ন স্থানে চলছে বেপরোয়া ভাবে ইয়াবা বানিজ্য। শুন্য থেকে কোটিপতির তালিকায় নাম লিখিয়েছে অনেকে। এলাকার প্রভাবশালী নেতা থেকে শুরু করে ছিটকে চোররাও আজ ইয়াবা বানিজ্য করে এলাকার গন্যমান্য বাক্তি। অনেকে লাইন ধরেছেন আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে। ভদ্রতার লেবাসে চলছে উখিয়ার সর্বত্র ইয়াবার আগ্রাসন। সিন্ডিকেট ভিক্তি ইয়াবা বানিজ্য চলছে সর্বত্র। ইয়াবা ব্যবসা করে মালিক হয়েছে একাধিক গাড়ী বাড়ীর। এসব গাড়ীতে করে চলছে ইয়াবা বানিজ্য।গত ১৩ এপ্রিল ইয়াবা নিয়ে আটকের তালিকায় যুক্ত হয়েছে উখিয়ার এক ইউপি সদস্য সহ ৩ জন। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ৯শ ৫ পিচ ইয়াবা। এর মধ্যে একজন আবার হলদিয়া পালং ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ সমর্থিত স¤া¢ব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী আমিনুল হক আমিনের ভাই। আটককৃতরা যথাত্রুমে, উপজেলার হলদিয়াপালং ইউনিয়নের লেঙ্গুর বিল গ্রামের মৃত বাচা মিয়ার ছেলে ও হলদিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলম, একই ইউনিয়নের পাগলির বিল গ্রামের সিরাজুল হক ও টেকনাফ উপজেলার হাতিয়ার ঘোনা গ্রামের সোলতান আহম্মদের ছেলে মোঃ তৈয়ব। মাঝেমধ্যে গুটিকয়েক আটক হলেও সিন্ডিকেটের মুল হোতারা ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে। উখিয়া থানার সাথে চুক্তির মাধ্যমে এসব সিন্ডিকেট ইয়াবা ব্যবসা চালিয় যাচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে উখিয়ার ২০ টি সিন্ডিকেট রাজনৈতিক প্রভাবশালী ও আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ম্যানেজের মাধ্যমে ইয়াবা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। উখিয়া সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমার থেকে প্রতিদিনই এদেশে ঢুকছে ইয়াবার চালান। প্রায় সময় ইয়াবা আটকের ঘটনা ঘটলেও ইয়াবার চালান আসা বন্ধ হয়নি বরং প্রায় প্রতিদিনই এর সাথে যুক্ত হচ্ছে নতুন নতুন সদস্য। উখিয়া উপজেলার আনাচে-কানাচে ইয়াবা পাচারে নিয়োজিত হয়ে পড়েছে নারী পুরুষ,যুবক,যুবতী থেকে শুরু করে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কর্মীরাও। সিন্ডিকেটের সদস্য হওয়ার মাধ্যমে এসব পাচারকারীরা কম সময়ে কোটিপতি হওয়ার নেশায় পড়েছে। ফলে উখিয়ায় অপ্রতিরোধ্য হয়ে পড়েছে ইয়াবা বানিজ্য। শুধুমাত্র উখিয়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ২০ টি ইয়াবা সিন্ডিকেট তৎপর রয়েছে মানণঘাতী এ ইয়াবা ব্যবসায়। আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ম্যানেজের মাধ্যমে এসব সিন্ডিকেট বেপরোয়া ভাবে প্রসাশনের নাকের নগার উপর দিয়ে ইয়াবা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। মাঝে মধ্যে সোর্সের দেওয়া তথ্যের ভিক্তিতে গুটিকয়েক ইয়াবা উদ্ধারের ঘটলেও ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকে সিন্ডিকেটের সদস্যরা। শুধুমাত্র ইয়াবা বাহককে আটকের মাধ্যমে স্থানীয় প্রশাসন তাদের দ্বায়িত্ব শেষ করায় এর সাথে জড়িত গড়ফাদার বা সিন্ডিকেটের ব্যাপারে কোন তথ্য উদ্ধার করা যাচ্ছেনা বলে স্থানীয় সচেতন মহলের অভিযোগ।উখিয়া সীমান্তের বালুখালী, শিয়াল্লাপাড়া, বেতবুনিয়া, দরগাবিল, ডেইলপাড়া ডিগিলিয়া,বরইতলী, রহমতের বিল,ধামনখালী সীমান্ত দিয়ে প্রতিদিন ইয়াবার চালান এসে সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রিত নির্ধারিত স্থানে জমা হয়। পরবর্তিতে সিন্ডিকেট সদস্যরা এসব ইয়াবা সড়ক পথে কক্সবাজার, চট্টগ্রাম ও রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন বড় বড় পাইকারী ব্যবসায়ীদের হাতে পৌঁছে দেয়। অনুসন্ধানে জানা গেছে, দেশের আর্ন্তজাতিক চোরাচালান সিন্ডিকেট এখন অস্ত্র ব্যবসার পরিবর্তে ইয়াবা ব্যবসার দিকে ঝুঁকে পড়েছে। এ সিন্ডিকেটের মূল হোতাদের নিয়ন্ত্রনে গড়ে উঠেছে উখিয়ার প্রায় ১৫ টি সিন্ডিকেট। চিন্তিত ইয়াবা গডফাদারদের নিয়ে গড়া এসব সিন্ডিকেট সদস্যরা স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজের মাধ্যমে ইয়াবা ব্যবসা নিয়ন্ত্রনের মাধ্যমে অনেকেই এখন নব্য কোটিপতি। সিন্ডিকেটের তরুন সদস্যদের অধিকাংশই আবার দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা, প্রভাবশালী ও ব্যবসায়ীদের আশির্বাদপুষ্ট হয়ে এ ব্যবসায় এসেছে। এসব তরুনদের অনুসরণ করে প্রায় প্রতিদিনই সিন্ডিকেটের বহরে যুক্ত হচ্ছে নতুন নতুন মুখ। এসব চিন্থিত সিন্ডিকেটের মাঝে যাদের নাম পাওয়া গেছে তাদের মধ্যে রয়েছেন বালুখালীর এনামুল হকের নেতৃত্ব বালুখালী সিন্ডিকেট, বিডিআর দোভাসী সাহাব উদ্দিনের নেতৃত্বে ঘুমধুম সিন্ডিকেট, ইমাম হোসেনের নেতৃত্বে জলপাইতলী সিন্ডিকেট, নুরুল আলম পুতিয়া, আবদুর রহমান ও আবদুর রহিমের নেতৃত্বে বালুখালী ঘোনারপাড়া সিন্ডিকেট, বাবুল,উত্তম ও ইসলামের নেতৃত্বে ঘিলাতলী সিন্ডিকেট, আতা উল্লা,মির আহামদ ও জালালের নেতৃত্বে সদর সিন্ডিকেট, বাবুলের নেতৃত্বে হিজলিয়া সিন্ডিকেট, আলী আহামদ, জাহাঙ্গীর আলম ও নুরুল আলমের নেতৃত্বে ভালুকিয়া সিন্ডিকেট, আকতারের নেতৃত্বে সিকদার বিল সিন্ডিকেট, আবদুল্লা,হারুন, রহমান ও লালুর নেতৃত্বে ডিগিলিয়া সিন্ডিকেট অন্যতম। এর বাইরেও সোনারপাড়া, থাইংখালী, জাদিমুরা, হলদিয়া পাতাবাড়ি,কুতুপালং সহ বিভিন্ন জায়গায় এলাকা ভিক্তিক সিন্ডিকেট করে ইয়াবা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে চিন্থিত পাচারকারীচত্রু। চিন্থিত এসব সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা তাদের কেনা নোহা,কার, মাইত্রেুা,ডাম্বার সহ মোটরসাইকেল যোগে প্রকাশ্যে ইয়াবা বানিজ্য চালিয়ে গেলেও প্রশাসন রয়েছে রহস্যজনক অবস্থানে। ফলে উখিয়া থানা প্রশাসনের ভুমিকা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়েছে উখিয়াবাসীর কাছে। এ ব্যাপারে উখিয়া টেকনাফের সহকারী পুলিশ সুপার সার্কেল আবদুল মালেক মিয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ইয়াবা নিয়ে পুলিশ সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। তথ্য ছাড়া ইয়াবা আটক করা কঠিন। তবুও পুলিম চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।