চলতি মৌসুমে উখিয়ায় ব্যাপক হারে আমের মুকুল ধরেছে। বাণিজ্যিকভাবে গড়ে উঠা বাগান, বসত ভিটা বা পরিত্যক্ত স্থানে প্রাকৃতিক উপায়ে বেড়ে উঠা গাছগুলো মুকুলে ছেয়ে গেলেও তা আবার ঝরে পড়তে শুরু করেছে। অধিকাংশ গাছে পড়া মুকুলগুলো প্রচন্ড তাপদাহে পুড়ে যাওয়ার কারণে আমের ফলন বিপর্যয়ের আশংকা করা হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বাণিজ্যিকভাবে গড়ে উঠেছে প্রায় শতাধিক আম বাগান। এ ছাড়া বাড়ির আঙ্গিনায়, রাস্তার ধারে, পরিত্যক্ত স্থানে অযতেœ, অবহেলায় গড়ে উঠা আমগাছ গুলোতে প্রকৃতির নিয়মে প্রচুর দেশীয় আমের ফলন হয়ে আসছিল যুগ যুগ ধরে। এখানে উৎপাদিত আম স্থানীয় চাহিদা পূরণ না করলেও আমের বাজার ছিল স্বাভাবিক। তথাপিও স্থানীয়দের আম গাছের পরিচর্যা করতে দেখা যায়নি। ফলে আমের ফলন বৃদ্ধি পাচ্ছে না বলে মনে করছেন পরিবেশবাদী সচেতন মহল। কিন্তু চলতি মৌসুমে যেভাবে আমের মুকুল পড়েছে, তা নিয়ে অনেকেই বিরূপ মন্তব্য করতেও দেখা গেছে। সম্প্রতি তেলখোলা, মোছারখোলা সহ বেশ কয়েকটি গ্রাম ঘুরে দেখা যায়, আমের মুকুল ঝরে পড়ছে। মোছারখোলা গ্রামের আম চাষী সোনা আলী জানান, তার বাগানে প্রায় ৫ শতাধিক আম গাছ রয়েছে। বিগত বছরের তুলনায় এবার আমের মুকুল বেশি হলেও ইতিমধ্যে অধিকাংশ গাছের মুকুল ঝরে পড়েছে। সে জানায়, প্রচন্ড খরতাপের কারণে গাছের মুকুলগুলো পুড়ে গেছে। গাছের গোড়ায় পানি দিয়েও মুকুল ধরে রাখা যাচ্ছে না।
স্থানীয় আম বাগান সংশ্লিষ্টরা জানান, কৃষি অফিসের মাঠ পর্যায়ে দায়িত্বরত কর্মকর্তারা কৃষকদের সঠিক পরামর্শ না দেওয়ার কারণে আমের প্রচুর মুকুল ধরা স্বত্বেও ফলন বিপর্যয়ের আশংকা করা হচ্ছে। উপজেলা ভারপ্রাপ্ত কৃষি কর্মকর্তা এনায়েত-ই রাব্বী জানায়, আমের মুকুল ঝরে যাওয়ার জন্য সঠিক পরিচর্যার অভাবজনিত কারণ রয়েছে। তিনি বলেন, ৫০ গ্রাম পটাশ, ১৬ লিটার ঠান্ডা পানিতে মিশিয়ে ¯েপ্র করলে মুকুল ঝরে যাওয়া অনেকটা রোধ হবে।