উখিয়ায় খরস্রোতা রেজু খালের গতিপথ পরিবর্তন হয়ে লোকালয়ে প্রবহমানের ধারাবাহিকতায় হুমকির মুখে পড়েছে পাইন্যাশিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও জামে মসজিদ। আসন্ন বর্ষা মৌসুমে বড়-য়াপাড়া গ্রামের শতাধিক পরিবার নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারে। ৬৫ মিটার দীর্ঘ ফুটব্রিজটি ধসে পড়লে ৫ গ্রামের ৮ হাজার মানুষের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। গত শনিবার সকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাঈন উদ্দিন রেজু খালের ভাঙন পরিদর্শন করতে গেলে স’ানীয় লোকজন এসব সংকট-সমস্যার কথা তুলে ধরেন।
স’ানীয় চেয়ারম্যানের আবেদনের প্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাঈন উদ্দিনসহ উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা গত শনিবার সকালে রেজু খালের ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শনে এলে শত শত নারী-পুরুষ খালের পাড়ে সমবেত হয়ে তাদের দুঃখ-দুর্দশার চিত্র তুলে ধরেন। এ সময় খালের ভাঙনে গৃহহীন শামসুন্নাহার (৩৮) জানান, রেজু খালের ভাঙনে একমাত্র বসতবাড়িটি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ার ফলে স্বামী তাদের ছেড়ে উধাও হয়ে গেছে।
ঝুঁকিপূর্ণ বড়-য়া পাড়া গ্রামের সমাজপতি দীনেশ বড়-য়া জানায়, রেজু খালের গতিপথ পরিবর্তনের ফলে ভাঙন ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে গত দুবছর ধরে। আগামী বর্ষা মৌসুমে ভাঙন প্রতিরোধে প্রশাসন ব্যবস’া না নিলে ৬৫ মিটার ফুটব্রিজসহ বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী অধ্যুষিত বড়-য়া পাড়া গ্রামের শতাধিক পরিবারের বসতবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়বে। ইউএনও’র দৃষ্টি আকর্ষণ করে স’ানীয় আওয়ামী লীগ নেতা উদয় বড়-য়া জানান, খালের ভাঙনরোধে সিসি ব্লক ও স্পার্ক নির্মাণ অতীব জরুরি হয়ে পড়েছে। পাশাপাশি ফুটব্রিজের পশ্চিম পাশে গাইডওয়াল নির্মাণ করা না হলে ব্রিজটি যে কোনো সময় ধসে পড়ে উপজেলা সদরের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারে। এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাঈন উদ্দিন রেজু খালের ভাঙন প্রতিরোধসহ ফুটব্রিজ রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস’া গ্রহণের জন্য উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী সোহরাব হোসেনকে নির্দেশ দিয়ে যত দ্রুত সম্ভব একটি প্রাক্কলন তৈরির পরামর্শ দেন।