উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মাঈন উদ্দিন উখিয়ার কৃষি সমাজে বিপ্লব ঘটানোর মাধ্যমে চমক দেখাতে মাঠে নেমেছেন স্ট্রেবেরী চাষে। এলাকার প্রত্যন্ত অঞ্চলের কৃষকদের উদ্বুদ্ধ ও সচেতনতা সৃষ্টি করতে তিনি এ স্ট্রবেরি’ চাষটি করেছেন। প্রথম বারের মতো কোন এক চাষী (ইউএনও) স্ট্রেরেরি চাষ করে ব্যাপক সফলতা পেয়েছেন। সরকারী দায়িত্বের সাথে সাথে নিজের শারিরিক চর্চার পাশাপাশি মানসিক প্রশান্তি দুর করে এক আনন্দ উপভোগ করছেন এই চাষ পরিচর্যার মাধ্যমে। এমনটিই জানালেন ইউএনও মোঃ মাঈন উদ্দিন।
জানা গেছে, গত ২০১৫সালের সেপ্টেম্বর মাসে উখিয়া যোগদান করার পর থেকে ব্যতিক্রমী প্রশংসিত কর্মকান্ডের মধ্যদিয়ে বেশ সুনাম অর্জন করেছেন। তিনি নিজের উদ্যোগে কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় তার সরকারী বাস ভবনের পার্শ্বে ১৫ শতক জমিতে বিভিন্ন ক্ষেতের চাষ করেছেন। তৎমধ্যে স্ট্রেবেরি উল্লেখযোগ্য। সরেজমিন দেখা যায়, বর্তমানে সবকটি স্ট্রেবেরি গাছে ফলন আসতে শুরু করেছে। পরিচর্যার কাছে ব্যস্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও স্ট্রেবেরি চাষের সফল চাষী মোঃ মাঈন উদ্দিন জানান, উখিয়ার প্রতিটি কৃষকের মাঝে গণসচেতনতা এবং বিপ্লব সৃষ্টি করার জন্য এই ব্যতিক্রমী চাষটি করেছি। এতে করে নিজের পুষ্টির চাহিদা পুরণ হচ্ছে, অপরদিকে মনের তৃপ্তি মেটাতে সক্ষম হচ্ছি। তিনি বলেন, চারা রোপনের ৩০/৪০ দিনের মাথায় ফলন দিচ্ছে স্ট্রবেরি। ৩ মাস ধরে ফল তোলা যায়। খেতে সুস্বাদু এ ফল এক মৌসুমে প্রতিটি গাছ থেকে প্রায় ১৫/২০টি ফল পাওয়া যায়। তিনি আরো জানান, এবারে উৎপাদিত ফল থেকে চারা তৈরী করবেন। আগামী মৌসুমে নিজের উৎপাদিত চারা কৃষি বিভাগকে সরবরাহ করবে। যার ফলে বার্তি মুনাফা অর্জন করতে পারবেন বলে তিনি বেশ আশাবাদী। প্রতি কেজি স্ট্রবেরী ৬ থেকে ৭শ টাকা টাকায় বিক্রি করা হয়। এ চাষ দেখে উখিয়ায় অনেক কৃষক স্ট্রেবেরী চাষে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। ভবিষ্যতে আরো বড় পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করার লক্ষ্যে স্ট্রবেরি র্নার্সারী করার পরিকল্পনা আছে তার। স্ট্রবেরীর নার্সারী করে এলাকায় এ ফলের চাষ ছড়িয়ে দিতে চান ইউএনও মোঃ মাঈন উদ্দিন।
উল্লেখ্য যে, ইউএনও মোঃ মাঈন উদ্দিন ইতিমধ্যে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, পশু, পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন, বাল্য বিবাহ, ইয়াবা-মাদক রোধ, যানজট নিরসন, হাটবাজার দখলমুক্ত সহ উপজেলার বিভিন্ন ক্ষেত্রে অভ্যূতপূর্ণ উন্নয়নের পাশাপাশি উখিয়াকে মডেল উপজেলায় রূপান্তরের আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার জন্য কক্সবাজার জেলার শ্রেষ্ট্র ইউএনও হিসেবে পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।