উখিয়ার উপজাতি অধ্যুষিত এলাকা তেলখোলা, মোছারখোলা সহ ৮টি গ্রামের প্রায় ১০ হাজার মানুষের যোগাযোগের একটি মাত্র মাধ্যম থাইংখালী-তেলখোলা ব্রিজটি সাম্প্রতিক সময়ে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। থাইংখালী খাল থেকে নির্বিচারে বালি উত্তোলনের ফলে মেয়াদকাল পূর্ণ হওয়ার আগেই ব্রিজটি অস্তিত্বসংকটে পড়েছে দাবী করে গ্রামবাসী জানান, জন চলাচলের এ ব্রিজটি ধ্বসে পড়লে বিপন্ন জনপদের হাজারো মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা অচল হয়ে পড়বে।
সরেজমিন এলাকা ঘুরে গ্রামবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, কতিপয় প্রভাবশালী ব্যক্তি বনকর্মীদের ম্যানেজ করে থাইংখালী খালের ১৪টি পয়েন্ট থেকে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন করা হচ্ছে। নির্বিচারে লুটপাটের মাধ্যমে বালি উত্তোলনের ফলে থাইংখালী-তেলখোলা সড়কের মধ্যখানে ২০০৮ সনে প্রতিষ্ঠিত ব্রিজটির সংযোগস্থলের গভীরে ভিত্তি নড়বড়ে হয়ে উঠে। একাধিক যাত্রী জানায়, টেক্সি, টেম্পু চলাচলের সময় এ ফুটব্রিজে মৃদু কম্পন অনুভূত হয়। তেলখোলা গ্রামের সমাজকর্মী প্রদীপ চাকমা জানায়, ৩ চাকার যানবাহন চলাচলের জন্য তৈরি করা ফুটব্রিজের উপর দিয়ে দৈনিক শত শত বালি ভর্তি ট্রাক চলাচলের কারণে ব্রিজটি এখন ঝুকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। আগামী বর্ষা মৌসুমের আগে ব্রিজটি সংস্কার করা না হলে ধ্বসে পড়ার আশংকা রয়েছে। তেলখোলা গ্রামের হেডম্যান বাউনু চাকমা জানায়, ৩ কিলোমিটার সড়কের মধ্যস্থলে থাইংখালী খালের উপর প্রতিষ্ঠিত ফুটব্রিজটি রক্ষা করতে হলে অবৈধ বালি উত্তোলন বাণিজ্য বন্ধ করতে হবে।
স্থানীয় ইউ,পি, সদস্য মানিক চাকমা জানান, এ ফুটব্রিজটি ধ্বসে পড়লে এলাকার মাধ্যমিক স্তরের ৩ শতাধিক ছাত্র-ছাত্রীর লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যাবে। নাগরিক সুবিধাবঞ্চিত হয়ে এখানকার হতদরিদ্র হাজারো চাকমা উপজাতি তাদের উৎপাদিত পণ্য সামগ্রী বাজারজাত করতে পারবে না বিধায় এসব পরিবারগুলোকে অনাহারে, অর্ধাহারে মানবেতর দিনযাপন করতে হবে। পালংখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গফুর উদ্দিন চৌধুরী জানান, তেলখোলা-থাইংখালী ফুটব্রিজ ও কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের থাইংখালী ব্রিজটি সংস্কার করার জন্য ইতিপূর্বে একাধিকবার আবেদন করা হয়েছে। কক্সবাজার সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রানা প্রিয় বড়–য়া জানান, থাইংখালী ব্রিজটির প্রয়োজনীয় সংস্কারের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে এবং প্রাথমিকভাবে বালির বস্তা দিয়ে খালের ভাঙ্গন প্রতিরোধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।