উখিয়া থেকে সীমান্ত দিয়ে প্রতিনিয়ত মিয়ানমারে ইউরিয়া সার পাচার হচ্ছে। চলতি মৌসুমে পর্যাপ্ত সার সরবরাহ থাকায় কৃষকেরা চাহিদামতো সার সরবরাহ পাচ্ছে। সার সংকট না থাকার কারণে মিয়ানমারে সার পাচারের ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকলেও পাচারের বিষয়টি ধামাচাপা পড়ে যাচ্ছে।
এ সুযোগে পাচারকারী চক্র প্রতিদিন সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত সিএনজি, অটোরিক্সা ও চাদের গাড়িতে করে সীমান্ত এলাকায় নিয়ে যাচ্ছে অহরহ ইউরিয়া সার। বিজিবি সদস্যরা মাঝেমধ্যে অভিযান চালিয়ে হাতের নাগালে ফেলে যৎসামান্য সার উদ্ধার করলেও বিপুল পরিমাণ সার মিয়ানমারে পাচার হচ্ছে বলে সীমান্তে বসবাসরত প্রত্যক্ষদর্শী গ্রামবাসীর অভিযোগ।
স্থানীয় শামশুল আলম, মাহমুদ উল্লাহ ও ইসলাম মিয়া সহ বেশ কয়েকজন সিএনজি চালক জানান, উখিয়া ষ্টেশন থেকে প্রতিদিন সন্ধ্যায় শত শত বস্তা ইউরিয়া সার বালুখালী, থাইংখালী ও পালংখালী যাচ্ছে। তবে এ সার কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, তা তাদের জানা নেই।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ উপজেলা ১২ জন পাইকারী সার ডিলার ছাড়াও প্রত্যন্ত গ্রামীণ জনপদে শতাধিক খুচরা সার ডিলার রয়েছে। চলতি মৌসুমে তেমন কোন সারের চাহিদা না থাকার কারণে বিপুল পরিমাণ সার ব্যবসায়ীদের গুদামে মজুদ রয়েছে। কৃষকদের অভিযোগ, এসব সার ডিলাররা বিভিন্ন কৃষকের অনুকুলে সার বরাদ্ধ দেখিয়ে বস্তা বস্তা সার মিয়ানমারে পাচার করে দিচ্ছে।
আঞ্জুমানপাড়া গ্রামের কৃষক আলী আহমদ, ছগির আহমদ সহ একাধিক ব্যক্তি জানান, প্রতিদিন সন্ধ্যায় ধামনখালী ও ঘুমধুমের করিডোর সীমান্ত পথ দিয়ে বস্তা বস্তা ইউরিয়া সার মিয়ানমারে পাচার হয়ে যাচ্ছে।
উপজেলা কৃষি অফিসার না থাকার কারণে সার পাচার নিয়ে আলাপ করা সম্ভব না হলেও উপ-সহকারী কৃষি অফিসার নাসির উদ্দিন জানান, তারা নিয়মিত সার ডিলারদের গুদাম তদারকি করছেন। রেজিষ্ট্রার এবং মওজুদের মধ্যে ভিন্ন তথ্য পাওয়া গেলে ওই সার ডিলারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঘুনধুম বিজিবির সুবেদার আতিয়ার রহমান জানান, বৃহস্পতিবার রাতে সীমান্তের করিডোর এলাকা থেকে ১ বস্তা ইউরিয়া সার উদ্ধার করা হয়েছে।