উখিয়া উপজেলা ৫০ শয্যা হাসপাতাল নাই নাই রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েছে। রোগী থাকলেও ডাক্তার ও ঔষুধ নেই।
জানা গেছে, উখিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কমিউনিটি ক্লিনিকে ১০ জন নিয়োগপ্রাপ্ত ডাক্তার রয়েছে। কমিউনিটি ক্লিনেকের ডাক্তাররা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মূলত নিয়মিত রোগী দেখে থাকেন।
মঙ্গলবার দুপুরে হাসপাতাল ঘুরে দেখা যায়, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার আবদুল মাবুদ, ডাক্তার মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম, ডাক্তার কাজল রেখা রায়, ডাক্তার আরিফা মেহের বিনা ছুটিতে অনুপস্থিত। রোগীরা ডাক্তারের দেখা না পেয়ে অনেকেই ফিরে গেছেন।
মঙ্গলবার দুপুরে উখিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মহিলা ওয়ার্ডে ভর্তি হয়েছেন হাজির পাড়া আলতাজ বেগম। শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি হয়েছেন কোর্ট বাজার গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের ছেলে বেলাল উদ্দিন।
জানতে চাওয়া হলে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া সিকদার বিল গ্রামের জুহুরা বেগম জানান, ২৪ ঘন্টায় ১ বার ডাক্তারের দেখা মিলে। মহিলা ও শিশু ওয়ার্ডে নানা রোগে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৪৪ জন। ডায়েরিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন ১১ জন। রোগীরা জানান, কোন রোগের ঔষুধ হাসপাতাল থেকে সরবরাহ করা হয়নি। সকল প্রকারের ঔষুধ বাহির থেকে কিনতে হয়েছে।
পুরুষ ওয়ার্ডের দায়িত্বরত এনজিও নার্সেস এসিস্টেন্ট মোঃ আজিজুল ইসলাম জানান, ঐ ওয়ার্ডে ৭ জন রোগী ভর্তি আছে। ঐ ওয়ার্ডে ভর্তি উত্তর পুকুরিয়া গ্রামের জমির আহাম্মদের ছেলে মোঃ তারেক জন্ডিস রোগে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন। তাকে কোন ধরনের ঔষুধ হাসপাতাল থেকে সরবরাহ করা হয়নি বলে সে অভিযোগ করেন।
নিয়ম রয়েছে একজন রোগীকে সকাল দুপুর রাতে দেখার কথা কিন্তু উখিয়া হাসপাতালে তা ভিন্ন। ২৪ ঘন্টায় একবার ডাক্তারের দেখা মিলে রোগীদের। মহিলা ওয়ার্ডে কর্তব্যরত সিনিয়র নার্স বালীশি বড়–য়া জানান, ডায়েরিয়া রোগীদের ওয়ারেছ ছাড়া কোন ঔষুধ নেই। এনজিদের নিকট থেকে ইতিপূর্বে ঔষুধ সরবরাহ দিলেও এখন আর দিচ্ছেনা।
এ ব্যাপারে জানতে চেয়ে কক্সবাজার সিভিল সার্জন ডাক্তার পুচনু ব্যবহৃত মুঠো ফোনে না পেয়ে তার পি.এ ওসমান গণিকে এ অভিযোগটি করা হয়েছে।
উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার আবদুল মাবুদের সাথে বেশ কয়েকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অফিস সহকারী ফরিদ আলমের নিকট জানতে চাইলে অনুপস্থিত ৪ জন ডাক্তার ছুটিতে আছে কিনা? সে বলেন তারা কোন ছুটি না নিয়ে কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছে।