একটা জয় নিয়ে ক্রিকেট বিশ্বকে দেখিয়ে দেওয়ার মন্ত্র নিয়েই ম্যাচটা খেলতে নেমেছিল আফগানিস্তান। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে যাওয়ার জন্য তাঁদের কেউ গোনায় ধরেনি, তাঁরা নিজেরাও সে দুরাশা করেনি। টানা তিন ম্যাচ হেরে বিদায়ও নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল আগে। তবে নাগপুরে আজ ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে গ্রুপের শেষ ম্যাচে একটা বার্তা ছড়িয়ে দিতে চেয়েছিল আফগানরা—আমরা উঠে আসছি! ঠিকই সেটি দিয়ে দিতে পারলেন নজিবুল্লাহ-হামজারা, ক্যারিবীয়দের হারিয়ে দিয়েছেন ৬ রানে।
পুঁজিটা খুব বড় ছিল না। গেইল নেই, কিন্তু ফ্লেচার-ব্রাভো-স্যামিদের সামনেও ১২৪ আর কোনো লক্ষ্য হলো! সেটিকেই কেমন ‘প্রায় অ্যাভারেস্ট সমান’ বানিয়ে দিচ্ছিলেন আফগান বোলাররা। আমির হামজা সবচেয়ে বেশি ‘কিপ্টেমি’ করে গেলেন, ৪ ওভারে দিয়েছেন মাত্র ৯ রান, উইকেট পেয়েছেন একটি। সঙ্গে অন্য বোলারদেরও নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সামনে ত্রাহি-ত্রাহি অবস্থা ক্যারিবীয় ব্যাটসম্যানদের।
ওপেনার জনসন চার্লসের ১৫ বলে ২২ রানের ইনিংসের পরও পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে এসেছে মাত্র ৩৪ রান, সঙ্গে অন্য ওপেনার অভিষিক্ত এভিন লুইসও ফিরে গেছেন শূন্য রানে। তার ওপর শ্রীলঙ্কার সঙ্গে দুর্দান্ত ইনিংস খেলা আন্দ্রে ফ্লেচারও ব্যথা পেয়ে উঠে গেছেন। চতুর্থ উইকেটে ৪১ রানের জুটি গড়ে দীনেশ রামদিন ও ডোয়াইন ব্রাভো চেষ্টা করেছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ ইনিংসকে পথে ফেরানোর। তবে দুজনই থিতু হয়ে আউট হয়ে গেছেন। রামদিনের ২৪ বলে ১৮ রান আর ব্রাভোর ২৯ বলে ২৮ রানের ইনিংস দুটি তাই ওয়েস্ট ইন্ডিজকে আশা জাগিয়েও তীরে ভেড়াতে পারল না। ব্যর্থ গেল শেষ দিকে কার্লোস ব্রাফেটের ৮ বলে ১৩ রানের ইনিংসও।
এর আগে ব্যাট করতে নেমে নজিবুল্লাহ জাদরানের ৪০ বলে ৪৮ রানের ইনিংসটিই আফগানিস্তানকে ১২৩ রানের পুঁজি এনে দিয়েছিল। আর টুর্নামেন্টজুড়ে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করা ওপেনার মোহাম্মদ শেহজাদ করেছেন ২২ বলে ২৪ রান।
বড় দলগুলো তাঁদের যেন আরেকটু গুরুত্বের সঙ্গে নেয়, তাদের সঙ্গে আরও বেশি ম্যাচ খেলার আমন্ত্রণ পাওয়া যায়—এটিই ছিল এই ম্যাচে আফগানদের চাওয়া। অন্যদিকে আগেই সেমিফাইনাল নিশ্চিত হওয়া ক্যারিবীয়রা মেতে ছিল পার্টিতে।
পার্টিটা একটু তেতো করে দিলেন আফগানরা। ক্রিকইনফো।