এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা : জেলার ২৯ কেন্দ্রে অংশ নেবে ১২২৬৫ শিক্ষার্থী
ডেইলি কক্সবাজার ডেস্ক ::
আপডেট সময়
রবিবার, ৩ এপ্রিল, ২০১৬
২৭৫
বার পড়া হয়েছে
কক্সবাজারসহ সারাদেশে একযোগে অভিন্ন প্রশ্নপত্রে আজ রোববার থেকে শুরু হচ্ছে উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা। প্রথম দিনে এইচএসসিতে বাংলা ১ম পত্র, আলিমে কোরআন মাজিদ ও কারিগরীতে বাংলা ২য় পত্রের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ১০ টায় পরীক্ষা শুরু হয়ে চলবে দুপুর ১ টা পর্যন্ত। এবার এইচএসসি ও সমমান মিলিয়ে জেলায় মোট ছ ১২ হাজার ২৬৫ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহন করবে। ২৯ টি কেন্দ্রে পরীক্ষা চলবে। এর মধ্যে এইচএসসি’র ১৩ কেন্দ্রে পরীক্ষার্থী রয়েছে ৮ হাজার ৮৭৭ জন, আলিমে ৮ কেন্দ্রে ২ হাজার ১৫৩ জন ও কারিগরিতে ৮ কেন্দ্রে এক হাজার ২৩৫ জন পরীক্ষার্থী রয়েছে।
সূচি অনুসারে, ৩ এপ্রিল থেকে ৯ জুন পর্যন্ত তত্ত্বীয় পরীক্ষা হবে। ১১ থেকে ২০ জুনের মধ্যে ব্যবহারিক পরীক্ষা নেওয়া হবে। গত কয়েক বছর এপ্রিলের প্রথম দিন পরীক্ষা শুরু হলেও এবার ১ এপ্রিল শুক্রবার হওয়ায় ৩ এপ্রিল থেকে পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে, এবার পরিক্ষা পদ্ধতি পরিবর্তন করা হয়েছে। শুরুতেই শিক্ষার্থীদের বহুনির্বাচনী পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে। এরপর ১০মিনিট বিরতি শেষে সৃজনশীল পদ্ধতির প্রশ্নে লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হবে। আগের নিয়মে সৃজনশীল পদ্ধতির লিখিত পরীক্ষা শুরুতে নেওয়া হতো। পরে হতো বহুনির্বাচনী অংশের পরীক্ষা। এবার দিনের প্রথম ভাগের পরীক্ষা সকাল ১০টায় শুরু হয়ে চলবে দুপুর ১টা পর্যন্ত। শেষ ভাগের পরীক্ষা দুপুর ২টায় শুরু হয়ে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলবে। পরীক্ষায় দৃষ্ঠি প্রতিবন্ধী, সেরিব্রাল পালসিজনিত প্রতিবন্ধী এবং যাদের হাত নেই এমন প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীরা শ্রুতি লেখক সঙ্গে নিয়ে পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে। এছাড়া এরা ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীদের জন্য ২০ মিনিট সময় পাবে। বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন পরীক্ষার্থীরা অতিরিক্ত ৩০ মিনিট সময় পাবে এবং পরীক্ষা কক্ষে তার অভিবাবক কিংবা সাহায্যকারী নিয়ে অংশগ্রহণের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
জেলা শিক্ষা শাখা সূত্রে জানা গেছে, এইচএসসিতে কক্সবাজার সদর উপজেলার ৩টি কেন্দ্রের মধ্যে কক্সবাজার সরকারি কলেজে ১৬৭৫ জন , কক্সবাজার সরকারি মহিলা কলেজে ১১১৫ জন, ঈদগাহ ফরিদ আহমদ কলেজে ৫১৪ জন শিক্ষার্থী অংশ নেবে। রামু উপজেলায় রামু কলেজ কেন্দ্রে অংশ নেবে ৩৭৩ জন। চকরিয়া উপজেলায় চকরিয়া কলেজে কেন্দ্রে ১০৫৯ জন, চকরিয়া মহিলা কলেজ কেন্দ্রে ৭০৬ জন ও মেমোরিয়াল খ্রিস্টান উচ্চ বিদ্যালয়ে ৬৭৯ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষা দেবে। কুতুবদিয়া উপজেলায় কুতুবদিয়া কলেজ কেন্দ্রে ৪৪৩ জন পরীক্ষার্থী, মহেশখালী উপজেলায় মহেশখালী কলেজ কেন্দ্রে ৭৩৪ জন পরীক্ষার্থী, উখিয়া উপজেলায় উখিয়া কলেজে ৪৮৮জন, বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মহিলা কলেজে ৪৮৯ জন, টেকনাফ উপজেলায় টেকনাফ এজাহার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ২০০ জন ও পেকুয়া উপজেলায় পেকুয়া শহীদ জিয়া বিজনেস ম্যানেজমেন্ট ইনষ্টিটিউটে ৪০২জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহনের কথা রয়েছে।
আলিম পরীক্ষায় কক্সবাজার সদরে কক্সবাজার ইসলামিয়া মহিলা কামিল মাদরাসায় ৩৭৯ জন, কক্সবাজার আদর্শ মহিলা কামিল মাদরাসায় ৩৭৬ জন, চকরিয়া উপজেলায় চকরিয়া আনওয়ারুল উলুম ফাজিল মাদরাসায় ৬২৬ জন, কুতুবদিয়া উপজেলায় কুতুবদিয়া বড়ঘোপ ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসায় ৭৮জন, মহেশখালী উপজেলায় পুটিবিলা ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসায় ১২০জন, টেকনাফ উপজেলায় রঙ্গিখালী দারুল উলুম ফাজিল মাদরাসায় ১১০ জন, পেকুয়া উপজেলায় আনোয়ারুল উলুম আলিম মাদরাসায় ২১৪ জন ও উখিয়া উপজেলায় রাজাপালং এম ইউ ফাজিল মাদ্রাসায় ২৫০ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষা দেবে।
এইচএসসি (ভোকেশনাল) পরীক্ষায় কক্সবাজার সদরে কক্সবাজার টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ কেন্দ্র ২৬৫ জন ও কক্সবাজার সিটি কলেজ (বি.এম) শাখায় ৩০৮জন, রামু উপজেলায় রামু ডিগ্রি কলেজ (বি.এম) ২২৭ জন, মহেশখালী উপজেলায় মহেশ খালী আলমগীর ফরিদ টেকনিক্যাল এন্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজে ১২৪ জন, উখিয়া উপজেলায় উখিয়া ডিগ্রি কলেজ (বিএম) শাখায় ১০৯ জন ও নুরুল ইসলাম চৌধুরী টেকনিক্যাল বিএম স্কুল এন্ড কলেজে ৭৫জন, কুতুবদিয়া উপজেলায় কুতুবদিয়া টেকনিক্যাল এন্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজে ৪৭জন ও পেকুয়া উপজেলায় পেকুয়া শহীদ জিয়া বিজনেস ম্যানেজমেন্ট ইনষ্টিটিউট বি.এম.আইতে ৮০ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহন করবে।
জেলায় সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে পরীক্ষা সম্পন্ন করার লক্ষ্যে ইতোমধ্যে সব ধরণের প্রস্তুতি নিয়েছে প্রশাসন। পরীক্ষার পূর্ব প্রস্তুতির অংশ হিসেবে গত ২৭ মার্চ সকাল ১১ টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এক প্রস্তুতি সভা জেলা প্রশাসক মো.আলী হোসেন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় জানানো হয়, পরীক্ষা চলাকালে আইন শৃঙ্খলা স্বাভাবিক ও পরীক্ষার্থীদের নিরাপত্তা বজায় রাখতে অতিরিক্ত ৪ জন ম্যাজিট্রেষ্ট দ্বারা ভ্রাম্যমান আদালত কাজ করবে। এছাড়া নকল প্রতিরোধ, কেন্দ্রের শৃঙ্খলা বজায় রাখা, যথাসময়ে প্রশ্নপত্র সরবরাহ করা ও পরীক্ষা চলাকালে শিক্ষকদের মোবাইল ফোন ব্যবহার না করা ও হল পরিদর্শন বিষয়ে শিক্ষকদের নিয়মনীতি মেনে কাজ করার জন্য আহবান জানান জেলা প্রশাসক ।