১২ বছরের বন্ধ্যাত্ব ঘোচাতে গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর উপজেলার গৃহবধূ আরজিনা বেগমের কোল জুড়ে এসেছিল পাঁচটি সন্তান। অস্ত্রপাচারের মাধ্যমে একসঙ্গে তিনটি ছেলে ও দুই মেয়ের জন্ম দেন তিনি। কিন্তু জন্ম হওয়ার পাঁচ নবজাতকের মধ্যে একে একে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আজ শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে আরও একটি নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চার নবজাতকের মৃত্যু হলো। পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে একটি নবজাতক ও বিকেলে আরও দুটি নবজাতকের মৃত্যু হয়। সূত্র আরো জানায়, বিয়ের ১২ বছর পর রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ৩টি ছেলে ও ২টি মেয়ে সন্তানের জন্ম দেন আরজিনা বেগম। তিনি গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর উপজেলার বনগ্রাম ইউনিয়নের কিশামত শেরপুর গ্রামের মো. শেরেকুল ইসলামের স্ত্রী। এদিকে স্বজনদের অভিযোগ, সঠিক চিকিৎসা না করায় একে একে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মৃত্যুতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অবহেলা রয়েছে। এ বিষয়ে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক সিরাজুম মুনিরা ডেইজী অবহেলার অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, এক সঙ্গে জন্ম নেওয়া পাঁচ নবজাতকের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ও সেবা দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত পাঁচ নবজাতকের মধ্যে চারজনের মৃত্যুর বিষয়টিও নিশ্চিত করেছেন তিনি।