কক্সবাজার জেলার দুই পৌরসভা ও ৩টি উপজেলার ১৯টি ইউনিয়নের নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করা হযেছে। নির্বাচনী তফসিল অনুযায়ী জেলার চকরিয়া ও মহেশখালী পৌরসভার নির্বাচন ২০ মার্চ এবং ৩টি উপজেলা মহেশখালী, কুতুবদিয়া ও টেকনাফের ১৯টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন আগামী ২২ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে। তারমধ্যে মহেশখালীর ৭টি এবং কুতুবদিয়া ও টেকনাফের সব কয়টি ইউনিয়নে নির্বাচন হবে।
জেলার প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর সূত্র মতে, এই নির্বাচনে অংশ নিতে ইতোমধ্যেই দেশের অন্যতম বৃহৎ দল বিএনপি চকরিয়া পৌরসভা ও ১১টি ইউনিয়নে একক প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে। অবশিষ্ট ৮টি ইউনিয়নেও দুয়েকদিনের মধ্যে প্রার্থিতা চূড়ান্ত করার কথা।
অন্যদিকে সরকারি দল আওয়ামী লীগ ৩টি ইউনিয়নে একক প্রার্থী চূড়ান্ত করলেও এখনও ঘোষণা দেয়নি। সব ইউনিয়ন ও পৌরসভায় প্রার্থিতা চূড়ান্ত করার পর জেলা আওয়ামী লীগও দুয়েকদিনের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করবে।
বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, আগামি ২০ মার্চ অনুষ্টেয় চকরিয়া ও মহেশখালী পৌরসভার মধ্যে চকরিয়া পৌরসভায় ধানের শীষ নিয়ে লড়বেন বর্তমান মেয়র নুরুল ইসলাম হায়দার। এছাড়াও কুতুবদিয়া উপজেলার আলী আকবর ডেইল ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান ফিরোজ খান চৌধুরী, বড়ঘোপ ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান শাকের উল্লাহ, কৈয়ারবিল ইউনিয়নে উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি জালাল আহমদ, লেমশিখালীতে আকতার হোসেন, দক্ষিণ ধুরংয়ে ছৈয়দ আহমদ আর উত্তর ধুরুুুংয়ে নেজাম উদ্দিন মেম্বার।
ওই সূত্র মতে, টেকনাফ উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের মধ্যে ৫টিতে একক প্রার্থী চূড়ান্ত করতে পারলেও বাহারছড়া ইউনিয়নে সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি দলটি। তবে আজকালের মধ্যে ওই ইউপিরও একক প্রার্থী ঘোষণা করা হবে। টেকনাফে বিএনপির একক প্রার্থীরা হলেন সদরে জিয়াউর রহমান, সাবরাংয়ে সুলতান আহমেদ মেম্বার, হ্নীলায় উপজেলা বিএনপির আহবায়ক জাফর আহমদ মেম্বার, হোয়াইক্যংয়ে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জুনায়েদ আলী চৌধুরী ও সেন্টমার্টিনে মৌলভী আব্দুর রহমান।
এ বিষয়ে কক্সবাজার জেলা বিএনপির সভাপতি শাহাজাহান চৌধুরী জানান, চকরিয়া পৌরসভা ও ১১টি ইউনিয়ন পরিষদে একক প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়েছে।
তিনি জানান, মহেশখালী পৌরসভা ও অবশিষ্ট ৮টি ইউনিয়ন পরিষদের একক প্রার্থী খুব শীঘ্রই চূড়ান্ত করা হবে। তারপর আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হবে বিএনপির ভবিষ্যত কান্ডারিদের নাম।
আওয়ামী লীগের একক প্রার্থী ঘোষণা সম্পর্কে কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মুজিবুর রহমান বলেন, ‘ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের ভীড় বেশি। তাই এবারের ইউপি নির্বাচনে প্রার্থী বাছাই জেলা আওয়ামী লীগের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ। তাই একটু সময় নিয়ে বিতর্কিত প্রার্থীদের এড়িয়ে সৎ ও যোগ্য প্রার্থী বাছাই করতে একটু সময় লাগছে।’
কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা বলেন, ‘১৯টি ইউনিয়ন পরিষদে প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করে আজকালের মধ্যে কেন্দ্রে পাঠানো হবে। তারপর সেখান থেকে ফেরত আসার পর দলীয় প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হবে।’