এ মাস থেকেই বীরাঙ্গনারা বকেয়াসহ মুক্তিযোদ্ধা ভাতা পাবেন। বীরাঙ্গনাদের তালিকা তৈরি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বীরাঙ্গনাদের হাতে মুক্তিযোদ্ধা ভাতা তুলে দেবেন।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক শনিবার প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে গাজীপুরে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
১৯৭১ সালের ১৯ মার্চ শহীদ হুরমত আলীর কবর চত্বরে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
পরে তিনি সাংবাদিকদের আরো বলেন, ২০১৫ সালের জুলাই মাস থেকে তাদের এ ভাতা কার্যকর হবে গত বছরের ১২ অক্টোবর ৪১ জন বীরাঙ্গনার নাম মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে গেজেট প্রকাশ করে সরকার দুই ধাপে ৬৭ জন বীরাঙ্গনার নাম মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
১৯৭১ সালে ডিসেম্বরে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মুক্তিযুদ্ধের সময় নির্যাতিত নারীদের ‘বীরাঙ্গনা’ স্বীকৃতি দিয়ে তাদের সম্মান জানান। তার নির্দেশনায় বীরাঙ্গনাদের ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসনের কাজ শুরু হয়, যা ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের আগ পর্যন্ত তাদের পুনর্বাসন কার্যক্রম চলছিল। পরে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর এই প্রক্রিয়াটি বন্ধ হয়ে যাওয়ার পাশাপাশি সামরিক শাসকদের মাধ্যমে সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে পাকিন্তানি জান্তার সহযোগীদের পুনর্বাসন প্রক্রিয়া শুরু হয়।
মন্ত্রী আরো জানান, আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার বীরাঙ্গনাদের মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। এরইমধ্যে এ বিষয়ে আদালতের নির্দেশনাও আসে। মুক্তিযুদ্ধের ৪৩ বছর পর গতবছর ১০ অক্টোবর বীরাঙ্গনাদের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল। গত বছরের ২৯ জানুয়ারি জাতীয় সংসদে ওই প্রস্তাব পাস হয়।
বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সাত্তর মিয়ার সভাপতিত্বে আয়োজিত আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন গাজীপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ও সাবেক এমপি কাজী মোজাম্মেল হক, ১৯ মার্চ শহীদ হুরমতের মেয়ে হালিমা খাতুন, জেলা প্রশাসক এস এম আলম প্রমুখ।
আলোচনা সভার আগে আজ ১৯ মার্চ প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ দিবসে শহীদ সকলের কবরে স্থানীয়ভাবে আলাদা করে এলাকাবাসী ও প্রশাসন ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।