ঈদযাত্রায় রাজধানী থেকে দেশের উত্তরাঞ্চলে যেতে সব থেকে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ সড়ক সিরাজগঞ্জ-বগুড়া মহাসড়কের চান্দাইকোনা শেরপুরের অংশ। এর প্রধান কারণ হলো এই রোডের চালকদের বেপরোয়া মনোভাব। চালকদের বেপরোয়া মনোভাবের পাশাপাশি ওভারটেকিং সড়ক দুর্ঘটনার আরও একটি কারণ। অবশ্য ওভারটেকিংয়ের বিষয়টি মানতে নারাজ চালকরা।
বিভিন্ন সংস্থার প্রতিবেদনে দেখা গেছে, এই মহাসড়কে চালকদের ওভারটেকিং করার মনোভাবের কারণে ঈদযাত্রায় সব থেকে বেশি দুর্ঘটনা হয়। ফলে যাত্রা পথে যেমন ভোগান্তি হয়, তেমনি অনেক প্রাণহানির ঘটনাও ঘটে। এছাড়া ওভারটেকিংয়ে অনিয়ন্ত্রিত হয়ে পড়ে সড়ক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা।
শুক্রবার (৩১ মে) সিরাজগঞ্জ-বগুড়া মহাসড়কের চান্দাইকোনা ও শেরপুর অংশে যাত্রী, চালক ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা যায়। সরেজমিনেও ওভারটেকিংয়ের এ চিত্র দেখা যায়।
সরেজমিনে দেখা যায়, ঈদযাত্রার অগ্রিম টিকিট ছাড়ার প্রথম দিনেই অনিয়ন্ত্রিত হয়ে পড়েছেন দূরপাল্লার বিভিন্ন পরিবহনে চালকরা। কার আগে কে যাবেন, এ নিয়ে অসুস্থ এক প্রতিযোগিতায় রাস্তায় মরণ খেলার নেশায় মেতে উঠেছেন চালকরা। ফলে বড় বড় এসব গাড়ির রেষারেষিতে যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে।
আরও দেখা যায়, মহাসড়কের চান্দাইকোনা থেকে শেরপুরের ১০ কিলোমিটার জায়গার মধ্যে অত্যন্ত ১০ স্পটের অধিক জায়গায় নিয়ন্ত্রণহীনভাবে বাস ও ট্রাক ওভারটেক করছে।
এ বিষয়ে যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অল্প ব্যবধানে দুর্ঘটনা এড়ানো গেলেও ওভারটেকিং এই মহাসড়কে দুর্ঘটনার প্রধান কারণ।
হানিফ পরিবহনের যাত্রী মোতালেব হোসেন বলেন, ‘সাধারণত রাস্তায় ধীর গতির গাড়ি চলতে থাকলে ওভারটেকিংয়ের প্রয়োজন পড়ে। এ সময় হর্ন বাজিয়ে সামনের গাড়িকে সংকেত দিতে হবে কিন্তু অনেক সময় সংকেত না দিয়ে একজন আরেক জনকে ওভারটেকিংয়ের প্রতিযোগিতা শুরু করে। যার ফলে সামনের দিক হতে আসা গাড়ি বের হতে না পেরে মুখোমুখি সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।’
তবে চালকরা এসব অভিযোগ মানতে নারাজ। তারা বলছেন, মহাসড়কে এমন একটু ওভারটেকিং সমস্যা না। যারা দক্ষ না তারাই ওভারটেকিং করতে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটায়।’
এদিকে, স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলছেন, ওভারটেকিংয়ের কারণে বগুড়া শহরতলির শেরপুর সড়ক দুর্ঘটনার অন্যতম ঝুঁকিপূর্ণ জায়গা হিসেবে পরিচিত সবার কাছে।