প্রথমবারের মতো শুরু হওয়া মেগা বীচ কার্নিভ্যালের দ্বিতীয় দিনে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে উড়েছে রঙ বেরঙের ঘুড়ি। শৈশবের এই স্মৃতি উড়িয়ে আনন্দে মেতেছে পর্যটকরা। সাগরের নীল আকাশে শতাধিক নানা প্রজাতির ঘুড়ি দেখেতে ভিড় করেছেন স্থানীয়রা। সাগরের একপাশে ব্যান্ড তারকা আইয়ুব বাচ্চুর গর্জন অন্যপাশে ঘুড়ি উৎসবে বছরের প্রথম দিন উপভোগ করেছেন দর্শনার্থীরা।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সমুদ্র সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে বাংলাদেশ ঘুড়ি ফেডারেশনের আয়োজিত তিনদিন ব্যাপী জাতীয় ঘুড়ি উৎস উদ্বোধন করেছেন শিক্ষাবিদ ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল। তিনদিন ব্যাপী ঘুড়ি উৎসবের মূলপর্ব শুরু হয় গতকাল শুক্রবার। আজ শনিবার তা-শেষ হবে।
এদিকে শুক্রবার শেষ বিকালের এই উৎসবে সাগরের আকাশ ছেয়ে যায় বেসাতী, ঈগল, ডলফিন, অক্টোপাস, সাপ, ব্যাঙ, মৌচাক, কামরাঙ্গা, পেঁচা, ফিনিক্স, পালতোলা নৌকা, শুকপাখি, চিল, স্যাটেলাইট, পোট্রেট, জেলিফিশ, গরুরগাড়ি, মৎস্যকন্যা, ফিঙে, শালিক, মিকিমাউস ও টাইগারসহনানা রঙের ঘুড়ি। এসব রং-বেরঙের ঘুড়ির ভেতরেই শৈশবের স্মৃতি ফিরে পেয়ে মুখরিত হয়ে ওঠেন পর্যটকসহ স্থানীয়রা।
বাংলাদেশ ঘুড়ি ফেডারেশন এর সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহজাহান মৃধা বেনু জানালেন, নতুন বছরের শুরুতে ঘুড়ি ওড়ানোর মধ্যদিয়ে হারিয়ে যাওয়া শিশুদের মুক্ত মনের স্বপ্নটা ফিরে পাচ্ছে। শিশু মনের স্বপ্ন বিকাশের সাথে অনেকেই শৈশবের স্বপ্নটাও বুনছে। তিনদিন ব্যাপী মেগা বীচ কার্নিভ্যালের এভেন্ট হিসেবে ১৫ তম ঘুড়ি উৎসবে মেতেছে দর্শনার্থীরা। আজ শনিবার শেষ হবে কার্নিভ্যালের এই ঘুড়ি উৎসবের আয়োজন।