কক্সবাজার রিপোর্ট :
কক্সবাজার শহরে তারকামানের হোটেল কক্স টুডের ৬ তলা থেকে ফেলে এক নারীকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে একজনকে আটক করেছে।
হোটেল কক্স টুডে থেকে উক্ত নারীর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। উদ্ধার হওয়া মরদেহের বিস্তারিত পরিচয় নিশ্চিত করা না গেলেও আটক সুদীপ রায় জানিয়েছেন, নিহত মহিলার নাম সোনিয়া (২৫)। তার বাড়ি বরগুনা জেলায়।
‘হত্যাকান্ডে’ জড়িত থাকার অভিযোগে আটক যুবক হলেন সুদীপ রায় (৩০)।সে ঢাকা ওয়ারীর রেংকিং স্ট্রিটের পরিতোষ রায়ের ছেলে। তবে পুলিশ তারও বিস্তারিত পরিচয় নিশ্চিত করতে পারেনি।
পুলিশ সূত্র মতে, এটি হত্যাকান্ড নাকি আত্মহত্যা তার রহস্য উদঘাটনে পুলিশ তদন্ত চালাচ্ছে। আটক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
হোটেল কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে সদর মডেল থানার অপারেশন কর্মকর্তা এসআই আব্দুর রহিম ডেইলি কক্সবাজার.কমকে বলেন, সোনিয়া ও তার দুই বন্ধু শনিবার সকালে হোটেল কক্স টুডে-তে অবস্থান নেন। রোববার বিকালে হোটেলের ছয় তলা থেকে পড়ে দ্বিতীয় তলার এয়ারকুলার আউটডোর ইউনিটের (আউট কমপ্রেসার) সাথে আটকে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে আসেন। এসময় হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।ডাক্তার জানায়,অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরণে ওই মহিলার মৃত্যু হয়েছে।
পুলিশের এ কর্মকর্তা আরো জানান, নিহত মহিলার মৃতদেহ উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। ময়না তদন্তের পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। এই ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও নিশ্চিত করেন এসআই আবদুর রহিম।
কক্সবাজার সদর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন তথ্যের সত্যতা স্বীকার করে ডেইলি কক্সবাজার.কমকে বলেন, পর্যটক সোনিয়া নিহতের ঘটনা হত্যা না আত্মহত্যা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ তার সঙ্গে আসা সুদীপকে আটক করে থানায় নিয়ে এসেছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
কক্স টুডে হোটেলের রিজারভেশন ও পাবলিক রিলেশন বিভাগে দায়িত্ব পালন করা এক মহিলা কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে ডেইলি কক্সবাজার.কমকে বলেন, কক্সবাজারের তারকা হোটেলগুলোতে কক্ষে অবস্থান করা নারী-পুরুষদের মাঝে রুম এন্ট্রির সময় শুধু পুরুষের নাম লিপিবদ্ধ করা হয়। তাই অনেকে ক্ষেত্রে নারীর পরিচয় সনাক্ত করা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। কক্স টু-ডেতে নিহত নারী পর্যটকের ক্ষেত্রেও হয়তো এমনটি হয়েছে। তাই হোটেল কর্তৃপক্ষ তার সম্পূর্ণ পরিচয় তুলে ধরতে ব্যর্থ হচ্ছেন এবং গণমাধ্যমকে পরিচয় এড়িয়ে যাচ্ছেন।
এদিকে এই ঘটনার পর শহরে গুজব ছড়িয়ে পড়ে, হোটেল কর্মচারিদের সাথে তুচ্ছ বিরোধের জের ধরে ওই মহিলাকে হত্যা করা হয়েছে। তবে এই ঘটনার সত্যতা কেউ নিশ্চিত করতে পারেনি।