গ্রুপ পর্বের ২ ম্যাচ জিতে ফাইনালে বাংলাদেশ! আকাশচুম্বি চাওয়া। গ্রুপ পর্বের এখনো এক ম্যাচ বাকি জুনিয়র টাইগারদের। কিন্তু বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজ বলছেন গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচটি বাংলাদেশের জন্যে ‘ফাইনাল’!
আজ মঙ্গলবার গ্রুপ সেরার লড়াইয়ে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ আফ্রিকার দেশ নামিবিয়া। আফ্রিকার দেশটিকে হঠাৎ এত গুরুত্ব দেওয়ার কারণ কি? শুনুন মিরাজের মুখ থেকেই, ‘নামিবিয়ার বিপক্ষে জিতলে কোয়ার্টারে আমরা নেপালকে পাব। হারলে পাব ভারতকে। নামিবিয়ার বিপক্ষে ম্যাচটি তাই এক প্রকার ফাইনাল ম্যাচ। গ্রুপের শেষ ম্যাচটি আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। এই ম্যাচ জিততে পারলে কোয়ার্টার-ফাইনাল আমাদের জন্য তুলনামূলক সহজ হবে। বলতে পারেন, সেমি-ফাইনালের রাস্তা একদম ফাঁকা হয়ে যাবে।’
মূলত শেষ আটে ভারতকে প্রতিপক্ষ হিসেবে পেতে চাইছে না বাংলাদেশ। কারণও আছে। শেষ তিন ম্যাচে মুখোমুখিতে তাদের বিপক্ষে একটিতেও জয় নেই জুনিয়র টাইগারদের। নেপালকে হয়তো তারা সহজে হারাতে পারবে। কিন্তু অনেক কঠিন হবে ভারতকে হারানো। এ জন্য বাংলাদেশের মূল টার্গেটে আগামীকালের ‘ফাইনাল’ জেতা।
স্কটল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে দেওয়া নামিবিয়া বাংলাদেশকেও হারানোর হুমকি দিয়েছে। দলটির কোচ বাংলাদেশকে আগামীকালের ম্যাচে ফেবারিট মানতে নারাজ। কোচ নর্বার্ট মানিয়ান্ডে ম্যাচ নিয়ে বলেছেন, ‘কোনো দিক থেকেই বাংলাদেশ ফেবারিট নয়। এই মুহূর্তেও তো রান রেটে আমরাই এগিয়ে। ওরা অবশ্য টেস্ট খেলুড়ে দেশ, সেদিক থেকে বলতে পারেন ওরা ফেবারিট। কিন্তু আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি, কালকে কোনো দলই ফেবারিট না। একই সমান।’ দলের অধিনায়কও বাংলাদেশকে হারাতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। জিন গ্রিন বলেছেন, ‘আমরা গতকালই (দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জয়) দেখলাম ক্রিকেটে সব কিছুই সম্ভব। আমরা বিশ্বাস করি আমরা যেকোন দলকে হারাতে পারি। বাংলাদেশ কেন নয়? জয়ের লক্ষ্য নিয়ে আমরা খেলতে নামি। আমরা মাঠে যথেষ্ট পরিশ্রম করি; ইতিবাচক থাকার চেষ্টা করি। আশা করছি কালকের ম্যাচে আমরা ভালো কিছু করে দেখাতে পারব। নিজেদের সেরা শক্তি দিয়ে আমরা খেলতে পারব।’
প্রতিপক্ষের হুমকিতে বিচলিত নয় বাংলাদেশ। বরং বাংলাদেশের স্পিনার সালেহ আহমেদ শাওন গাজী জানান, নামিবিয়াকে নিয়ে মোটেও চিন্তা করছে না বাংলাদেশ শিবির। কেনই বা চিন্তা করবে? দুই দলের চার বারের মুখোমুখিতে চার বারই জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। ২০১৪ সালের বিশ্বকাপেও নামিবিয়াকে ৫২ রানে হারায় বাংলাদেশ।
নিজেদের আত্মবিশ্বাস নিয়ে শাওনের বক্তব্য, ‘আমরা নিজেদের সেরা খেলাটা খেলতে পারলে অন্য কারও টাইম নাই। আত্মবিশ্বাস আসে নিজের কাছ থেকেই। আমরা অনেক দিন ধরেই একসঙ্গে আছি, অনেক ভালো টিমমেট আমরা সবাই, ভালো করছি মাঠে। সব মিলিয়েই বিশ্বাস আসে। নামিবিয়াকে নিয়ে ভাবতেছি না।’ ১১তম অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপে ‘এ’ গ্রুপের শেষ ম্যাচে কক্সবাজার শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের একাডেমি মাঠে বাংলাদেশ ও নামিবিয়ার ম্যাচটি মঙ্গলবার সকাল ৯টায় শুরু হবে। সম্প্রচার সুবিধা না থাকায় ম্যাচটি কোনো চ্যানেল সরাসরি দেখাবে না।