কক্সবাজারের ১০ জন গুণী ব্যক্তিকে সম্মাননা দিল জেলা শিল্পকলা একাডেমি। গতকাল শনিবার রাতে কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে এ সম্মাননা দেওয়া হয়। গুণীদের সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী।
সম্মাননাপ্রাপ্ত গুণীজনেরা হলেন জসিম উদ্দিন (আবৃত্তি), মো. রায়হান উদ্দিন (সংগীত), ধনীরাম বড়ুয়া (যন্ত্রশিল্পী), সাহানা রেজা (নাট্যকলা), বিপুল সেন (যাত্রাশিল্পী), ফয়েজুল আজিম (চারুকলা), কামরুল হাসান (লোকসংস্কৃতি), প্রবীর বড়ুয়া (সংগীত), স্বপন ভট্টাচার্য (নাট্যকলা) ও সিরাজুল ইসলাম (যাত্রাশিল্পী)।
সম্মাননা প্রদান উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কক্সবাজার জেলা শিল্পকলা একাডেমির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ফেরদৌস আলী চৌধুরী, বায়তুশশরফ কমপ্লেক্সের মহাপরিচালক এম এম সিরাজুল ইসলাম, অধ্যাপক সোমেম্বর চক্রবর্তী, কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র (ভারপ্রাপ্ত) মাহবুবুর রহমান। বক্তব্য দেন জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিত পাল, কালচারাল অফিসার আয়াজ মাবুদ। সঞ্চালনা করেন কবি শামীম আকতার ও দীপক শর্মা।
বিশ্বজিত পাল জানান, ২০১৩ সাল থেকে শিল্পকলা একাডেমি জেলার গুণীজনদের সম্মাননা জানিয়ে আসছে। এবার ২০১৪ ও ২০১৫ সালের জন্য মনোনীত ১০ গুণীজনকে একসঙ্গে সঙ্গে সম্মাননা জানানো হলো।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী বলেন, সংস্কৃতিকর্মীরাই সমাজকে অন্ধকারের বৃত্ত ভেঙে আলোর দিকে নিয়ে যেতে পারে। সংস্কৃতির বিকাশই পারে সাম্রাজ্যবাদ-মৌলবাদের অপশক্তি রুখে দিতে।
এর আগে বিকেলে কক্সবাজারের নাট্যসংগঠনের কর্মকর্তাদের এক সভায় লিয়াকত আলী বলেন, কক্সবাজারে নিয়মিত বিচ থিয়েটার কার্নিভ্যালের আয়োজন করা হবে।
কক্সবাজার থিয়েটারের সাধারণ সম্পাদক তাপস রক্ষিতের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন নাট্যনির্দেশক স্বপন ভট্টাচার্য, গণমুখ থিয়েটারের পরিচালক সত্যপ্রিয় চৌধুরী, নাট্যসংগঠক সুশান্ত পাল প্রমুখ।