টেকনাফের হোয়াইক্যং এ বিজিবির হাতে ছাত্রলীগ নেতা আটক হওয়ার ঘটনা নিয়ে উখিয়া-টেকনাফের সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদিকে নিয়ে বিভিন্ন গনমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা অপপ্রচারকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন এমপি বদি। এই সব মিথ্যা অপপ্রচারের কোন সত্যতা বা প্রমান দিতে পারলে দলের যে কোন শাস্তি মাথা পেতে নিবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। এই ঘটনা নিয়ে আওয়ামীলীগ ও ছাত্রলীগকে তদন্ত কমিটি গঠন করারও অনুরোধ জানিয়েছেন এমপি বদি।
এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, টেকনাফের হোয়াইক্যংএ গত ২৭ মার্চ বিজিবির সাথে ছাত্রলীগের নেতা কর্মীদের ঘটনায় আমাকে জড়িয়ে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম ও অনলাইনে নানা বিভ্রান্তি ও উষ্কানি মূলক সংবাদ আমার দৃষ্টি গোচর হয়েছে। একটি বিশেষ মহল উখিয়া টেকনাফে আওয়ামীলীগ সরকার ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার ধারাবাহিক উন্নয়ন কর্মকান্ডে ঈর্ষান্বিত হয়ে সম্পুর্ন উদ্দেশ্যমূলক ভাবে কক্সবাজার ৪ আসনে আওয়ামীলীগের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য দীর্ঘদিন ধরে স্বক্রিয় আছে। বিগত কয়েকদিন ধরে ঐ মহলটি সু পরিকল্পিত ভাবে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ও আমার মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করার পায়তারা চালাচ্ছে সংগঠিত ঘটনায় কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের কোন সদস্যের বিরুদ্ধে আমার ষড়যন্ত থাকার বিষয়টি সম্পুর্ন বানোয়াট , মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। এই বিষয়ে আমি চ্যালেঞ্জ ঘোষনা করলাম। আমি গনমাধ্যমের কাছে অনুরোধ করছি, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাথে আমার বিরোধ সৃষ্টি মূলক মিথ্যা সংবাদ প্রচার থেকে বিরত থাকুন। সত্যতা নিরুপন না হওয়া পর্যন্ত আমার দলের অঙ্গ সংগঠন ও আমাদের প্রানপ্রিয় ছাত্রলীগকে নিয়ে আমার সাথে সম্পর্ক নষ্টকরার পায়তারা না করার জন্য সকলের প্রতি আহবান জানাচ্ছি। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ হলো দক্ষিন এশিয়ার সর্ব বৃহৎ ছাত্র সংগঠন। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ইতিহাস হলো বাংলাদেশের সৃষ্টির ইতিহাস। ১৯৪৮ সালের ৪ঠা জানুয়ারী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর হাত ধরে সৃষ্টি হয় বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। ৫২ ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ৬৯ এর গনঅভ্যুর্থান, ৭০ এর নির্বাচন , ১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতার সংগ্রাম সহ বাংলাদেশের প্রতিটি লড়াই সংগ্রামে ছাত্রলীগের অবদান অনস্বিকার্য। বাংলাদেশে ছাত্রলীগ হলো বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের ভ্যানগার্ড। বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পরথেকে দেশের গনতন্ত্র রক্ষা ও স্বাধনিতা বিরোধী অপশক্তির বিরোদ্ধে এখনো রাজপথে লড়াই করে যাচ্ছে ছাত্রলীগ। শিক্ষা শান্তি প্রগতীর স্লোগান বলিয়ান বাংলাদেশে ছাত্রলীগ সারা বাংলার গ্রামে গন্জে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশে আওয়ামীলীগের একজন কর্মী হিসেবে ছাত্রলীগ নিয়ে আমি অহংকার করি।
বিগত ২৭ মার্চ টেকনাফের হোয়াইক্যং ও হ্নীলা ইউনিয়নের নির্বাচন চলার দিন বিজিবির সাথে ছাত্রলীগ নেতা কর্মীদের মধ্যে কি ঘটছে তা আমার সম্পুর্ন অজানা ছিলো। ঘটনার পরবর্তি সময়ে বিভিন্ন স্থানে ছাত্রলীগের অবরোধের পর আমি ছাত্রলীগের নেতা কর্মীদের ঘটনার সম্পর্কে অবহিত হই। তবে ঐ দিন প্রকৃত পক্ষে কি ঘটেছিলো তা এখনো আমার কাছে সম্পুর্ন ভাবে সুস্পষ্ঠ নয়। ঐ ঘটনায় আমাকে নিয়ে বিভিন্ন গনমাধ্যমে বিভ্রান্তমূলক খবর প্রচার করায় আমি বিস্মিত হয়েছি। আমি এই সব মিথ্যা সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সংশৃষ্ট বিষয়টির সাথে আমাকে কেন জড়ানো হলো এবং এর উদ্দেশ্য কি তা খুজে বেরকরা প্রয়োজন। আমার দল আওয়ামীলীগের অন্যতম সহযোগী সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে আমি কোন কাজ করেছি কিনা ও ছাত্রলীগের ভাবমূর্তি ক্ষূন্ন হয় তেমন কোন কর্মকান্ড করেছি কিনা তার সত্যতা যাচাইয়ের জন্য আমি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি ও কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগকে তদন্ত করার অনুরোধ করছি। একই সাথে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটিকেও ঘটনাটির সুষ্ঠ তদন্ত করে আমার জড়িত থাকার বিষয়টি সত্য কিনা তা খুজে বেরকরার অনুরোধ করছি। তদন্তে যদি ছাত্রলীগের ভাইদের ঐ ঘটনায় আমার কোন সংশ্লিষ্ঠতা পাওয়াযায় তাহলে আমার দল যেই সিদ্ধান্ত নেবে তা আমি মাথা পেতে নেব।