গণিত যে জানে না, সে অন্ধ। আর গণিতে যে ভালো, সে সবকিছুতেই ভালো। ডাচ্-বাংলা ব্যাংক-প্রথম আলো গণিত উৎসবের কক্সবাজার আঞ্চলিক পর্ব উদ্বোধনের সময় এ কথা বলেন জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন।
আজ মঙ্গলবার সকালে কক্সবাজার সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের মাঠে এই উৎসব শুরু হয়েছে।
সকাল নয়টায় জাতীয় সংগীতের সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে উৎসবের উদ্বোধন করেন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক। কক্সবাজার বন্ধুসভার সদস্যরা জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেন।
উৎসবে বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটির পতাকা উত্তোলন করেন ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের কক্সবাজার শাখার ব্যবস্থাপক সাজ্জাদুর রহমান। আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডের পতাকা উত্তোলন করেন কক্সবাজার সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দেবব্রত দাশ।
উদ্বোধনী পর্বের শুরুতে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন কক্সবাজারে প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক আবদুল কুদ্দুস। বক্তব্য রাখেন কক্সবাজার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ প্রকৌশলী প্রদীপ্ত খীসা, কক্সবাজার সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দেবব্রত দাশ, কক্সবাজার পিটিআইয়ের তত্ত্বাবধায়ক কামরুন্নাহার, বায়তুশ শরফ জব্বারিয়া একাডেমির প্রধান শিক্ষক মো. সৈয়দ করিম, কক্সবাজার সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রামমোহন সেন।
জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন বলেন, ‘গণিত উৎসব—কথাটি শুনতে যেমন ভালো লাগে, দেখতেও ভালো লাগে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি আশা করছি, এখানকার শিক্ষার্থীরা ঢাকায় বিজয়ী হয়ে হংকং গিয়ে কক্সবাজার তথা সারা দেশের মুখ উজ্জ্বল করবে।’
উদ্বোধনী পর্বের পর শুরু হয় মূল প্রতিযোগিতা। দিনব্যাপী এই উৎসবে থাকছে প্রশ্নোত্তরপর্ব, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণ।
কক্সবাজার অঞ্চলের এই উৎসবে কক্সবাজার ও বান্দরবানের ৬৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছয় শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছে।
ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের পৃষ্ঠপোষকতা এবং প্রথম আলোর ব্যবস্থাপনায় এই উৎসবের আয়োজক বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটি।