কক্সবাজারে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যে পালিত হল মহিমান্বিত `সৌভাগ্য রজনী’ শবে বরাত

ডেইলি কক্সবাজার রিপোর্ট :
‘শব’ শব্দের অর্থ রাত এবং ‘বরাত’ শব্দের অর্থ সৌভাগ্য। এটি ফারসি শব্দ। হিজরি সালের শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাত মুসলমানরা পালন করে ‘ভাগ্য রজনী’ হিসেবে। গতকাল রাতটিই পবিত্র শবে বরাত ছিল। সারাদেশের ন্যায় কক্সবাজারেও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পালিত হয় মহিমান্বিত এ রাত।
কক্সবাজারের সকল মসজিদে বা ঘরে ঘরে রাত জেগে ইবাদত বন্দেগি করেছে মানুষ। ফজর ওয়াক্তের আগ পর্যন্ত এভাবে আমল করেন অনেকে। অনেকে আজ রোজাও রেখেছিলেন।
বিশেষ করে কক্সবাজারের মাজার ও কবরস্থান কেন্দ্রিক মসজিদগুলোতে বিপুল সংখ্যক মানুষ মিলাদ মাহফিলে জড়ো হয়ে দোয়া দরুদ ও নফল নামাজ আদায় করছেন। অনেকে মসজিদের বাইরে বসে থাকা শত শত ভিক্ষুককে দান খয়রাতও করছেন।
মর্যাদাপূর্ণ এ রাতে মহান আল্লাহ তা’আলা বান্দাদের জন্য তার অশেষ রহমতের দরজা খুলে দেন। মহিমান্বিত এই রাতে কক্সবাজারের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা পরম করুণাময় আল্লাহর অনুগ্রহের আশায় নফল নামাজ, কোরআন তিলাওয়াত, জিকিরে মগ্ন থাকেন। জীবনের পাপ মার্জনা এবং ভবিষ্যৎ জীবনের কল্যাণ কামনা করে মোনাজাত করেন।
ইবাদত-বন্দেগির পাশাপাশি বাড়ি বাড়ি গরু, মুরগির মাংস রান্না, হরেক রকমের হালুয়া, ফিরনি, রুটিসহ উপাদেয় খাবার তৈরি হয়েছে। এসব খাবার বিতরণ করা হয় আত্মীয়স্বজন, প্রতিবেশী ও গরিব-দুঃখীর মধ্যে। গতকাল সন্ধ্যার পরে অনেকে কবরস্থানে গিয়ে চিরনিদ্রায় শায়িত আপনজনদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করেন।
প্রসঙ্গ, আরবি দিনপঞ্জিকা অনুসারে শাবান মাসের পরে আসে পবিত্র রমজান মাস। শবে বরাত মুসলিমদের কাছে রমজানের আগমনী বার্তা বয়ে আনে। তাই শবে বরাতের রাত থেকে রমজানের প্রস্তুতিও শুরু করেন মুসলমানরা।