বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক এনজিও কর্মীকে ধর্ষণ করার মামলায় কক্সবাজার সড়ক ও জনপদ বিভাগের সাব-ইঞ্জিনিয়ার (উপ-সহকারী প্রকৌশলী) পলাশ চাকমাকে কারাগারে পাঠিয়েছে নারী ও শিশু ট্রাইব্যুনাল আদালত।
সোমবার এ মামলায় আসামী পলাশ চাকমা কক্সবাজার নারী ও শিশু আদালতে আত্বসমর্পন করে জামিনের জন্য হাজির হলে বিজ্ঞ বিচারক জামিন বাতিল করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। গত ২০১৫ সালের ৮ই ডিসেম্বর বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষনের অভিযোগে তুষি চাকমা বাদী হয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতনে আইনে পলাশ চাকমার বিরুদ্ধে ধর্ষন মামলা করেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানাযায়,২০০৮ সাল থেকে রাঙ্গামাটি জেলার জুড়াছড়ি সদর থানার ঘিলাতলি চাকমারবাড়ি এলাকার (ছদ্দ নাম)তুষি চাকমার সাথে একই এলাকার পলাশ চাকমার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে।এর ফলশ্রুতিতে তুষি চাকমা ২০১৩ সালে প্রথমে এনজিও সংস্থা মুসলিম (টেকনাফ) এবং পরে আন্তর্জাতিক অভিবাবন সংস্থা(আইওএম) তে উখিয়ায় কর্মরত থাকা কালে পলাশ চাকমাও কক্সবাজার সড়ক ও জনপদ বিভাগে যোগদান করলে তাদের সম্পর্ক আরও গভীরে পৌঁছায়।
পরবর্তীতে দীর্ঘ দুইবছর ধরে চলে তাদের এ সম্পর্ক চলার পর বিয়ের প্রলোভনে ফেলে ২০১৫ সালের ১ ডিসেম্বর কক্সবাজার সড়ক ও জনপদ বিভাগের স্টাফ কোয়ার্টারে তুষিকে প্রথমবার ধর্ষণ করে।এভাবে তুষিকে স্ত্রীর মর্যাদা দেয়ার আশ্বাস দিয়ে দৈহিক সম্পর্ক গড়ে তুলে পলাশ।এরপর বিয়ে করার জন্য প্রস্তাব করা হলে আসামী পলাশ তাকে বিয়ে করতে পারবেনা বলে জানায়।
এ ঘটনায় প্রতারনার শিকার ধর্ষীতা তুষি ২০১৫ সালের ৮ ডিসেম্বর বাদি হয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি ধর্ষন মামলা করে।পরবর্তীতে
দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর আসামী পলাশ হাইকোর্টে মিথ্যা তথ্য দিয়ে জামিন চাইলে হাইকোর্ট ৩০ দিনের সময় দিয়ে নারী আদালতে আত্বসমর্পনের নির্দেশ দেয়।এ সুযোগে আসামী পলাশ চাকমা ৭ মার্চ নারী আদালতে আত্বসর্ম্পন করে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত জামিন লাভ করে।
কিন্তু ৪ এপ্রিল কক্সবাজার নারী ও শিশু আদালতে আসামী পলাশ চাকমা জামিনের জন্য আদালত হাজির হলে তার আইনজীবী অরুপ বড়ুয়া তপু জামিনের আবেদন করেন।কিন্তু বাদীর আইনজীবি রানা দাশগুপ্ত এবং সাজ্জাদুল করিম জামিনের বিরোধীতা করলে বিজ্ঞ বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে আসামী পলাশ চাকমাকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেয়।
এ ব্যাপারে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই মানস বড়ুয়া জানান,তদন্তে আসামী পলাশ চাকমা প্রতারণা ও ধর্ষনের কথা স্বিকার করেছে।
কক্সবাজার সদও মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: আসলাম হোসেন জানান,সোমবার কক্সবাজার সড়ক ও জনপদ বিভাগের সাব-ইঞ্জিনিয়ার পলাশ চাকমাকে ধর্ষন মামলায় আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।