1. arif.arman@gmail.com : Daily Coxsbazar : Daily Coxsbazar
  2. dailycoxsbazar@gmail.com : ডেইলি কক্সবাজার :
  3. litonsaikat@gmail.com : ডেইলি কক্সবাজার :
  4. shakil.cox@gmail.com : ডেইলি কক্সবাজার :
  5. info@dailycoxsbazar.com : ডেইলি কক্সবাজার : Daily ডেইলি কক্সবাজার
কক্সবাজারে পানির স্তর ক্রমশ নিচে নেমে যাচ্ছে - Daily Cox's Bazar News
রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:০০ পূর্বাহ্ন
নোটিশ ::
ডেইলি কক্সবাজারে আপনার স্বাগতম। প্রতি মূহুর্তের খবর পেতে আমাদের সাথে থাকুন।
সংবাদ শিরোনাম ::
কট্টরপন্থী ইসলামী দল হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের জন্য চ্যালেঞ্জ: এসএডিএফ কক্সবাজারের আট তরুণ তরুণীকে ‘অদম্য তারূণ্য’ সম্মাননা জানাবে ঢাকাস্থ কক্সবাজার সমিতি Job opportunity বিশ্বের সবচেয়ে বড় আয়না, নাকি স্বপ্নের দেশ! আল-আকসা মসজিদে ইহুদিদের প্রার্থনা বন্ধের আহ্বান আরব লীগের পেকুয়ায় পুলিশের অভিযানে ৮০ হাজার টাকার জাল নোটসহ গ্রেফতার-১ পেকুয়ায় অস্ত্র নিয়ে ফেসবুকে ভাইরাল : অস্ত্রসহ আটক শীর্ষ সন্ত্রাসী লিটন টেকনাফে একটি পোপা মাছের দাম হাঁকাচ্ছেন সাড়ে ৭ লাখ টাকা ! কক্সবাজারের টেকনাফে র‍্যাবের অভিযানে ইয়াবাসহ আটক-১ নিউ ইয়র্কে মেয়র কার্যালয়ে শহীদ মিনার নির্মাণ নিয়ে কনসাল জেনারেলের আলোচনা

কক্সবাজারে পানির স্তর ক্রমশ নিচে নেমে যাচ্ছে

ডেইলি কক্সবাজার ডেস্ক ::
  • আপডেট সময় রবিবার, ১০ এপ্রিল, ২০১৬
  • ২৫১ বার পড়া হয়েছে
pani_crisis_water_9448কক্সবাজারে ক্রমশ মাটি থেকে পানির স্তর আশংকাজনক হারে নীচে নেমে যাচ্ছে। এর ফলে বিশুদ্ধ খাবার পানি পাওয়ার নিশ্চয়তাও দিন দিন কমে যাচ্ছে। গ্রাম অঞ্চলের চেয়ে শহর অঞ্চলে পানির স্তর নীচে নামার পরিমান বেশি বলে জানান বিশেষজ্ঞরা। এ অবস্থা চলতে থাকলে খুব নিকট সময়ে আমাদের পানির জন্য বড় বিনোয়োগ করতে হবে । একই সাথে পলিথিন এবং প্লাস্টিকের ব্যবহার কমিয়ে পানির অপচয় রোধ করতে সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে বলে মনে করেন তারা।
ঢাকা ভিত্তিক পানি নিয়ে কাজ করা জীবন নামের একটি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা মারুফ শাহরিয়ার বলেন, আমরা সারা দেশে পানির স্তর আর্সেনিকের মাত্রা  নির্ধারণ, এছাড়া পানির উৎস খোঁজে সেগুলোকে কাজে লাগানোসহ গবেষণা মূলক কাজ করি। সম্প্রতি কক্সবাজারসহ পার্বত্য অঞ্চলে কাজ করতে গিয়ে দেখা গেছে পাহাড়ি এলাকা হিসাবে সেসব এলাকায় যে পরিমান পানির স্তর  কাছে থাকার দরকার তা বহু গুণের নীচে। বিশেষ করে কক্সবাজার সমুদ্র এলাকা হিসাবে কিছু বাড়তি সুবিধা থাকার কথা, সেটাও আমরা দেখতে পাইনি। এটা খুবই আশংকাজনক। আমরা দেখেছি কক্সবাজারের টেকনাফে বিশুদ্ধ পানির লেয়ার ৩০০ ফুটেরও নীচে যা খুবই অস্বাভাবিক। সদরের অনেক গ্রামের সাধারণ মানুষ টিউবওয়েল ব্যবহার করতে পারছে না। কারন ১০০ ফুটের নীচে কোন স্তরই নেই। বেশিরভাগ গ্রামে ২০/৩০ পরিবার মিলে একটি গভীর নলকূপ থেকে পানি পান করছে। আর শহর অঞ্চলের অবস্থা আরো ভয়াবহ, যাদের বাড়িতে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন গভীর নলকূপ আছে তারা পানি নিয়ে নিশ্চিন্ত আছে। আর যাদের পরিবারে টাকা নেই তারা খাবার পানি নিয়ে খুবই সমস্যায়। কারন একটি গভীর নলকূপ স্থাপন করতে প্রায় ১ লাখ টাকার মত খরচ হয়। তবে এর ফলে আসে পাশের সাধারণ নলকূপগুলো আরো পানি শূণ্যতা হয়ে হয়ে পড়েছে। মাটির থেকে পানির পরিমান কমে গেছে। সব মিলিয়ে পানি নিয়ে নিকট ভবিষ্যতে একটি বড় মহামারির সম্মূখীন হতে পারে কক্সবাজারের মানুষ।
water-cri-dcআলাপকালে কক্সবাজার পৌরসভার পানি শাখার কর্মকর্তা আবদুল্লাহ বলেন, আমি পানি শাখায় কাজ করছি বহুবছর। আগে আমাদের মটরগুলো ২ ঘন্টা চালালে পৌরসভায় সব এলাকায় পানি চলে যেত, এখন সারাদিন চালালেও পানি পৌঁছে না। কারন পানি আসে কম। আর এছাড়া আমাদের আগের সব মটর নতুনভাবে স্থাপন করতে হয়েছে, কারন পানির স্তর নীচে নেমে যাওয়ায় মটরে পানি পাচ্ছে না। আর যে কয়েকটি পুরানো পাম্প আছে সেগুলোতেও পানি কম আসে। তবে শহর এলাকায় প্রতিটি বাড়িতে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন মটর দিয়ে পানি টানার কারনে পানির স্তর আরো বেশি নীচে নেমে যাচ্ছে। তিনি বলেন, পৌর শহরে সাধারণ নলকূপ আছে বলে আমার মনে হয়না।
আলাপকালে চট্টগ্রাম জনস্বাস্থ্য অফিসের প্রকৌশলী আবুল মনজুর বলেন, একসময় ছিল কক্সবাজারে ৫০/৬০ ফুটে ভাল পানি পাওয়া যেত এখন সেটি স্বপ্ন। এখন ভাল পানি পেতে হলে ৪০০/৪৫০ ফুট পর্যন্ত যেতে হচ্ছে। এ থেকেই বুঝা যায় পানির স্তর কিভাবে নীচে নামছে। তিনি বলেন, পানি যে পরিমান আমরা ব্যবহার করি তার ৯০% আবার মাটিতেই থেকে যায় কিন্তু আমাদের কিছু ভুলের কারনে সেই পানি আবার মাটি পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে না। কারন এখন বেশিরভাগ সড়ক পাকা যার ফলে সেখা যে মাটি আছে সেসব মাটি পানি পাচ্ছে না। আবার অবাধে পলিথিন এবং প্লাস্টিক ব্যবহার করার ফলে বৃষ্টির পানি মাটি পর্যন্ত পৌঁছাতে পারছে না। এর ফলে এক দিকে মাটির উর্বরতা কমছে অন্য দিকে পানির সাথে মাটিকে বিচ্ছিন্ন করছে। মাটি যদি পানি ধরে রাখতে না পারে তাহলে পানি রাখার আর কোন প্রকৃতিক কিছু নেই। তাই সবাইকে পলিথিন এবং প্লাস্টিকের ব্যবহার কমাতে হবে। অথবা করলেও সেটা যেন ব্যবহারের পরে পুড়িয়ে ফেলা যায় সেই ব্যবস্থা করতে হবে। কারন পলিথিন এবং প্লাস্টিক মাটির নীচে থাকুক বা পানিতে থাকুক কয়েক যুগেও তার ক্ষয় হয়না বা পঁচে না। আর যে সব কর্তৃপক্ষ বর্জ্য ব্যবস্থাপনা দায়িত্বে থাকে তাদেরও পলিথিন বা প্লাস্টিক পুড়িয়ে ফেলতে হবে। আর বাড়ির ব্যবহৃত পানি সবসময় মাটিতে ফেলার ব্যবস্থা করলে ভাল হয় এর ফলে মাটি পানি শুধন করে পানি জমিয়ে রাখতে পারে।
আলাপকালে কক্সবাজার জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী অনুপম দে বলেন, এখন বিশ্বের সব পরাশক্তি যুদ্ধ করছে তেলের জন্য। একটি সময় আসবে বিশ্বের ক্ষমতাধর রাষ্ট্রগুলো যুদ্ধ করবে বিশুদ্ধ পানির জন্য। পানির এত গুরুত্ব হয়ে পড়বে। পানির স্তর নীচে নেমে যাওয়া শুধু আমাদের নয় এটি জাতীয় বলতে গেলে আন্তর্জাতিক সমস্যা। বিশেষ করে যখন শুষ্ক মৌসুম আসে তখন এই সমস্যা আরো বেশি করে দেখে যায়। তিনি সবাইকে পানির অপচয় রোধ করে পানি ব্যবহারে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দেন।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2020 Dailycoxsbazar
Theme Customized BY Media Text Communications