অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ট্রফি হাতের নাগালে পেয়ে মহাখুশি কক্সবাজারের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের খুদে শিক্ষার্থীরা। আজ সোমবার দুপুরে পুলিশি পাহারায় বিশ্বকাপ ট্রফিটি আনা হয় শহরের পিটিআই-সংলগ্ন পরীক্ষণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।
এ সময় খুদে শিক্ষার্থীরা ট্রফিটি ঘিরে হইচই শুরু করে। বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র খুরশেদ জানায়, ক্রিকেট খেলা তার খুবই পছন্দ। সাকিব, মুশফিক ও তাসকিন তার প্রিয় খেলোয়াড়। সে বলল, ‘ভবিষ্যতে আমিও ক্রিকেটার হব। বিশ্বকাপ ট্রফি আমাদের স্কুলে! অবিশ্বাস্য।’ চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী মায়মুনা বলে, ‘এই বিশ্বকাপ বাংলাদেশেই থাকবে। আমরা বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হব।’
বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে পিটিআই সুপারিনটেনডেন্ট কামরুন্নাহারের সভাপতিত্বে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য দেন জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক অরূপ বড়ুয়া, চট্টগ্রাম বিভাগীয় ক্রিকেট কোচ মোমিনুল হক, আইসিসি প্রতিনিধি বায়োজিদ হোসেন, কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসলাম হোসেন, পিটিআইয়ের সহকারী সুপারিনটেনডেন্ট স্বপন কুমার দে, শিক্ষক মো. নুরুল আলম প্রমুখ।
পরে খুদে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্রিকেট নিয়ে কুইজ পরিচালনা করেন সাবেক ক্রিকেট খেলোয়াড় যুবরাজ শিপলু। কুইজের সঠিক উত্তর দেওয়া ২০ শিক্ষার্থীকে ক্রিকেট ব্যাট পুরস্কার দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে পিটিআই সুপারিনটেনডেন্ট কামরুন্নাহার বলেন, ‘বিশ্বকাপ ট্রফি এখন আমাদের হাতের মুঠোয়। খুদে শিক্ষার্থীরা ট্রফি দেখে মহাখুশি। ক্রিকেট খেলায় খুদে শিক্ষার্থীরা উৎসাহিত হচ্ছে।’
ওসি মো. আসলাম হোসেন বলেন, ২৯ জানুয়ারি থেকে কক্সবাজারের শেখ কামাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুরু হচ্ছে ১১টি দেশের খেলোয়াড়দের নিয়ে আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ ক্রিকেট। খেলোয়াড়দের সার্বিক নিরাপত্তায় পুলিশ নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিয়েছে। আগামীকাল মঙ্গলবার বিদেশি খেলোয়াড়েরা কক্সবাজারে পৌঁছবেন।
জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক অরূপ বড়ুয়া বলেন, আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে ১৭টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে কক্সবাজারে। বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, দক্ষিণ আফ্রিকা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, আফগানিস্তান, নামিবিয়া, আয়ারল্যান্ড, স্কটল্যান্ডসহ ১৬টি দেশ এই বিশ্বকাপে অংশ নিচ্ছে।