দেশি-বিদেশি পর্যটকদের নজর কাড়তে দেশের সবচেয়ে বড় কক্সবাজর সমুদ্র সৈকতে তিন দিনব্যাপী ‘মেগা বিচ কার্নিভাল’ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।বিদেশি পর্যটকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতেই আয়োজন করা হয়েছে এই কার্নিভাল। কার্নিভালের অংশ হিসেবে এখানে কর্নসাট ও ঘুড়ি উৎসব উদযাপন করা হয়।
গত দু’দিনে সমুদ্র সৈকতে বিদেশি কোনো পর্যটক চোখে পড়েনি। দেশি পর্যটকরা পুরনো বছরকে বিদায় জানাতে এবং নতুন বছরকে বরণ করতে সমুদ্র পাড়ে উৎসবে মেতে ওঠেন।
দেশি পর্যটকদের মধ্যে আসাদ রহমান পরিবার নিয়ে এসেছেন নারায়ণগঞ্জ থেকে। সমুদ্র পাড়েই কথা হয় তার সঙ্গে।
তিনি বলেন, ‘আমি অনেক দেশে ঘুরেছি। এখানে এর আগেও এসেছি। কিন্তু পরিবার নিয়ে কক্সবাজারে ঘুড়তে আসতে সংকোচ অনুভব করি। কারণ, পরিবার নিয়ে সমুদ্রের পানিতে নামলে এখানে কেউ কেউ টিজ করেন। যা অত্যন্ত লজ্জাকর’।
তিনি বলেন, ‘বিদেশিরা একটু খোলামেলাভাবে সমুদ্র সৈকতের সৌন্দর্য উপভোগ করতে চান। বিদেশিদের সেই পরিস্থিতি দেখে অনেকে সম্ভবত টিজ করেন। যে কারণেই হয়তো সৈকতে বিদেশিরা আসতে চান না’।
সমুদ্র পাড়ে সন্ধ্যার পর ঘুরতে আসতে ভয় লাগে বলেও জানান আসাদ রহমান।
বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন ২০১৬ সালকে পর্যটন বর্ষ হিসেবে ঘোষণা করেছে। নতুন বছরে ১০ লাখ দর্শনার্থী কক্সবাজার ভ্রমণ করবেন বলে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
সৈকতে বিদেশি পর্যটকদের ভ্রমণ নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন না করা গেলে সেই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব হবে না বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
বৃহস্পতিবার (৩১ ডিসেম্বর) তিন দিনব্যাপী ‘মেগা বিচ কার্নিভাল’র উদ্বোধন করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।