পয়লা বৈশাখে অর্থাৎ ১৪ এপ্রিল রাখাইন বৃদ্ধ-বৃদ্ধারা অষ্টশীল পালনের জন্য মন্দিরে যান। রাখাইন সম্প্রদায়ের লোকজন ওইদিন বুদ্ধ মূর্তিকে চন্দন জলে স্নান করান। পরে তারাও স্নান করেন এবং নতুন পোশাক পরেন সকলে। কক্সবাজার শহরে রাখাইন সম্প্রদায়ের ‘সাংগ্রেং পোয়ে’ উৎসবের প্রধান স্থান হলো বৌদ্ধ মন্দির বা অ মেধা ক্যাং এলাকা। সেখানে ‘জলখেলির’ জন্য বড়ো প্যান্ডেল তৈরীর পাশাপাশি রাখাইন ডেভলপমেন্ট ফাউন্ডেশন (আরডিএফ) বর্ণাঢ্য পরিসরে নৃত্য-গাণসহ নানা আকর্ষনীয় অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করে। তাই ‘জলকেলি’ উৎসবের মধ্যমণি হয়ে থাকে এলাকাটি।শহরের বিভিন্ন রাখাইন পল্লী ঘুরে দেখা গেছে, শহরের গোলদিঘীর পাড়, বৌদ্ধ মন্দির সড়ক, বায়তুশ শরফ রোড, টেকপাড়া, মাছ বাজার এলাকা, হাঙ্গরপাড়াসহ বেশ কয়েকটি রাখাইন অধ্যুষিত এলাকায় রাখাইন সমপ্রদায়ের লোকজন জলকেলি উৎসব ও পূজাপার্বনে মেতে উঠেছে। কক্সবাজার পৌরসভার ১৭ রাখাইন পাড়ায় চলে এ জলকেলি উৎসব। রাখাইনদের এ উৎসবের মূল লক্ষ্য অতীতের সব ব্যথা-বেদনা, গ্লানি ভুলে গিয়ে ভ্রাতৃত্ববোধের মাধ্যমে ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাওয়া। রাখাইন তরুণ-তরুণীরা নতুন ও আকর্ষণীয় পোশাক পরিধান করে সেজেগুজে রাস্তার মোড়ে মোড়ে এবং রাখাইন পল্লীতে তৈরি করা জলকেলি উৎসবের প্যান্ডেলে গিয়ে একে অপরকে পানি নিক্ষেপ করে আনন্দ প্রকাশ করে। এ সময় বাদ্য বাজিয়ে নাচ-গানসহ চলে আনন্দঘন অনুষ্ঠান। সঙ্গে ঢাক-ঢোল আর কাঁসার তালে-তালে নেচে উঠে রাখাইন আবাল-বৃদ্ধ-বণিতাদের প্রাণ।