কক্সবাজারের রামু উপজেলা হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা আবদু সবুরকে গ্রেফতার করেছে দুর্ণীতি দমন কমিশন (দুদক) এর একটি টীম। সোমবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলা চত্বর থেকে এ কর্মকর্তাকে গ্রেফতারের পর থানায় সোর্পদ করা হয়।
কক্সবাজার সদর হাসপাতাল ও নার্সিং ইনস্টিউটের বেতন ভাতা, উৎসব ভাতা থেকে প্রায় ২ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগটি অনুসন্ধানে প্রমাণিত হওয়ায় কক্সবাজার উপজেলা হিসাব রক্ষণ অফিসের এক অডিটরসহ তিনজনের বিরুদ্ধে গেল বছর ৭টি মামলা দায়ের করে দুদক। এসব মামলায় আসামীদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে আদালত।
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) চট্টগ্রাম-২ এর উপসহকারী পরিচালক ওয়াহিদুজ্জামান জানান, সোমবার দুপুরে রামু উপজেলা চত্বর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে হসাব রক্ষণ অফিসার আব্দুচ ছবুরকে।
গ্রেফতারকৃত আব্দুচ ছবুরের বিরুদ্ধে দুদকের দায়েরকৃত ৭টি মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে। তাকে রামু থানা পুলিশের কাছে সোর্পদ করা হয়।
দুদক সূত্র জানায়, কক্সবাজার জেলার অফিসগুলোর দায়িত্বে থাকা কক্সবাজার উপজেলা হিসাব রক্ষণ অফিসের অডিটর নাছির উদ্দিন মো. আবু সুফিয়ান, টেকনাফ উপজেলা হিসাব রক্ষণ অফিসার আব্দুচ ছবুর ও কক্সবাজার জেলা হিসাব রক্ষণ অফিসার মোঃ নুরুল হুদা মিলে ভুয়া কাগজপত্র সাজিয়ে কক্সবাজার সদর হাসপাতাল ও কক্সবাজার নার্সিং ইনস্টিটিউটের বেতন-ভাতা, উৎসব ভাতা, শ্রান্তি বিনোদন ভাতা ও ছাত্রী বৃত্তি ভাতার খাত থেকে ১ কোটি ৯০ লাখ ৪১ হাজার ১৭১ টাকা আত্মসাৎ করেন। ২০১১ সালের জুলাই থেকে ২০১২ সালের মার্চ পর্যন্তু তারা এসব টাকা আত্মসাৎ করেন।
২০১৩ সাল থেকে তিন বছর অনুসন্ধান শেষে এই বিপুল পরিমাণ টাকা আত্মসাতের বিষয়টি প্রমাণিত হয়। গেল বছরের ২৪ ডিসেম্বর ৭টি মামলা দায়েরের অনুমোদন দেয় দুদক। চলতি বছর এক অডিটরসহ তিনজনের বিরুদ্ধে প্রায় ২ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ মামলা দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।