কক্সবাজার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হর্টিকালচার বিভাগের উপ-পরিচালক খোকন ঘোষ নিজেই ঠিকাদারীতে নেমেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সরকারী এ দপ্তরের বিভিন্ন অবকাঠামো সংস্কার ও নির্মাণ কাজের টেন্ডার না করে গোপনে নিজেই শ্রমিক দিয়ে কাজ করিয়ে নিচ্ছেন। এভাবে গোপনে কোটেশনের মাধ্যমে বিভিন্ন কাজের অনুকুলে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
সূত্র জানিয়েছে, কক্সবাজার বাস টার্মিনালের পাশে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ‘নারিকেল বাগান’ এর ধ্বসে পড়া বাউন্ডারী নির্মাণ ও সংস্কার কাজের জন্য অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয়। কিন্তু ওই কাজের জন্য টেন্ডার না করে গোপনে কোটেশনের মাধ্যমে নিজেই কাজ করে নেয়ার পাঁয়তারা করছেন খোদ উপ-পরিচালক নিজেই। এ ঘটনায় প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী ও ঠিকাদারদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। বেশ কয়েকজন ঠিকাদার অভিযোগ করে জানান, কর্তৃপক্ষ কোন নোটিশ বা ঘোষনা ছাড়াই এসব সরকারী কাজ নিজেরা করে বিল-ভাউচার বানিয়ে লাখ লাখ টাকা আত্মসাতের পাঁয়তারা করছে। এমনকি ওই বাউন্ডারির ধ্বসে পড়া নির্মাণ সামগ্রী কাজে লাগিয়ে বেশি বিল তুলে নেয়ার পরিকল্পনাও গ্রহন করা হয়েছে। ইতিপূর্বেও সেখানে এ ধরণের একাধিক ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন ঠিকাদাররা। এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে কক্সবাজার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হর্টিকালচার বিভাগের উপ-পরিচালক খোকন ঘোষ বলেন, ‘এসব ছোট-খাট কাজ আমরা নিজেরাই করবো। ঠিকাদারদের এসব কাজ দেয়ার দরকার নেই।’